Pension Rules 2022: কর্তব্যে অবহেলা হলে এবার থেকে সরকারি চাকুরেদের রেয়াত করবে না সরকার। সরকারি কর্মচারীদের জন্য সম্প্রতি এই বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। হুঁশিয়ারি বার্তায় বলা হয়েছে, এমনটা হলে অবসরের পর পেনশন,গ্র্যাচুইটি বন্ধ করে দেবে সরকার। এই আদেশ সব কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। যার ভিত্তিতে রাজ্য সরকারও তার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
Government Employee: কী সতর্কবার্তা দিয়েছে সরকার ?
কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তাদের চাকরির সময় কোনও গুরুতর অপরাধ বা অবহেলার জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে অবসর নেওয়ার পরে তাদের গ্র্যাচুইটি ও পেনশন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই নির্দেশগুলি কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস (পেনশন) বিধি 2021-এর অধীনে জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি সিসিএস (Pension) বিধিমালা 2021-এর নিয়মে ৮ পরিবর্তন করেছে। যাতে নতুন বিধান যুক্ত করেছে সরকার।
Pension Rules 2022: সবার কাছে পাঠানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তি
নিয়ম পরিবর্তনের তথ্য কেন্দ্রীয় সরকার সব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছে। দোষী কর্মচারীদের তথ্য পাওয়া গেলে তাদের পেনশন ও গ্র্যাচুইটি বন্ধে ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
Government Employee: কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ?
চলতি বছরের ৭ অক্টোবর এই নিয়মগুলিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই নিয়ম অনুসারে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দোষী সাব্যস্ত হলে পেনশন বা গ্র্যাচুইটি বা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে আটকে রাখার অধিকার পাবেন। চাকরি চলাকালীন এসব কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় বা আইনি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হলে তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাতে হবে। কোনও কর্মচারী অবসর গ্রহণের পর পুনরায় চাকরিতে নিযুক্ত হলে তার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
Pension Rules 2022: অবসরের পর কী হবে ?
যদি কোনও দোষী প্রমাণিত কর্মচারী অবসর গ্রহণের পর পেনশন ও গ্র্যাচুইটি নিয়ে থাকেন, তাহলে তার কাছ থেকে সম্পূর্ণ বা আংশিক পরিমাণ পেনশন বা গ্র্যাচুইটি আদায় করা যেতে পারে। এছাড়াও, বিভাগের ক্ষতির ভিত্তিতে এর মূল্যায়ন হবে। কর্তৃপক্ষ চাইলে এই পরিস্থিতিতে কর্মচারীর পেনশন বা গ্র্যাচুইটি স্থায়ীভাবে বা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দিতে পারে।
Government Employee:
মনে রাখবেন, কোনও কর্তৃপক্ষকে চূড়ান্ত আদেশ দেওয়ার আগে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে পরামর্শ নিতে হবে। এই ধরনের যেকোনও ক্ষেত্রে পেনশন আটকে রাখা বা প্রত্যাহার করা যেতে পারে। এতে ন্যূনতম পরিমাণ প্রতি মাসে ৯০০০ টাকার কম হওয়া উচিত, যা ইতিমধ্যেই নিয়ম ৪৪- এর অধীনে নির্ধারিত হয়েছে।