নয়াদিল্লি: মুদ্রাস্ফীতির জেরে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। সেই আবহে পণ্য ও পরিষেবা করে কিছুটা হলেও রেহাই মিলতে পারে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের কথা মাথায় রেখে সংসারে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর উপর GST ছাড় দেওয়ার ভাবনা কেন্দ্রীয় সরকারের। এই মুহূর্তে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে গোটা বিষয়টি। শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে। এতদিন ১২ শতাংশ GST বসত যে সমস্ত পণ্য়ের উপর, সেগুলিকে ৫ শতাংশ GST-র আওতায় আনা হতে পারে বলে খবর। ১২ শতাংশ GST-তে সামগ্রিক ভাবে ইতিও পড়তে পারে। (GST Relief)

দিল্লি সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে যে সমস্ত পণ্যের উপর ১২ শতাংশ GST কার্যকর, তার অধিকাংশই গৃহস্থের বাড়িতে ব্যবহার্য সামগ্রী। সেই তালিকায় রয়েছে টুথপেস্ট, টুথ পাওডার, ঘি, সাবান, স্ন্য়াক্স, ছাতা, সেলাই মেশিন, প্রেসার কুকার, রান্নাঘরের বাসন ও সামগ্রী, বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি, গিজার, ছোট ওয়াশিং মেশিন, বাইসাইকেল,১০০০ টাকার বেশি দামের রেডিমেড জামাকাপড়, ৫০০ ও ১০০০ টাকার বেশি দামের জুতো, স্টেশনারি, টিকা, সেরামিক টাইলস, কৃষিকাজের যন্ত্রপাতির মতো সামগ্রী ও সরঞ্জাম। (GST News)

কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্তে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা উপকৃত হবেন। কবে এতে সরকারের ঘাড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটির বোঝা চাপবে। তবে মুদ্রাস্ফীতির কথা মাথায় রেখে, সেই ঝুঁকি নিতে রাজি কেন্দ্র। কারণ এতে সাধারণ বাজারে কেনাকাটা বাড়বে বলে আশাবাদী তারা। মুদ্রাস্ফীতির চাপে এমনিতে বাজারে কেনাকাটা কমে গিয়েছে। সংসারের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে হাতে টাকা থাকছে না সাধারণ মানুষের। ফলে কেনাকাটা বন্ধ রাখতে হচ্ছে, সরাসরি যার প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। তাই GST ছাড় দিয়ে সাধারণ মানুষকে টাকা বাঁচানোর রাস্তা করে দিতে চায় কেন্দ্র।

শীঘ্রই GST পরিষদের ৫৬তম বৈঠক হতে চলেছে। সেখানেই এ ব্যাপারে চূড়া্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে। বৈঠকের ১৫ দিন আগেই নোটিস এসে পৌঁছয়। দিল্লি সূত্রে খবর, চলতি মাসের শেষ দিকে বৈঠকে বসতে পারে GST পরিষদ। সেখানে ১২ শতাংশ GST-র আওতায় জিনিসপত্রকে ৫ শতাংশ GST-র আওতায় এনে ফেলা হতে পারে। অন্য দিকে, ১২ শতাংশ GST পুরোপুরি তুলে দেওয়া হতে পারে বলেও খবর।

GST-র কাঠামোয় বদল আনা হতে পারে বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে যতটা ছাড় দেওয়া সম্ভব, তা আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন। তবে এতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভোটাধিকার প্রয়োগ করে মতামত জানাতে পারবে পশ্চিমবঙ্গও। সাধারণত সর্বসম্মতিতেই GST সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। এখনও পর্যন্ত একবারই ভোটাভুটি হয়েছে GST পরিষদের বৈঠকে।