CNG Rate Hike: আগামী দিনে এই উৎসবের মরশুম পেরোলেই সিএনজির দাম বাড়তে চলেছে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকার শহুরে খুচরো বিক্রেতাদের কাছে সস্তায় দেশীয় সিএনজি সরবরাহের পরিমাণ ২০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে দেশে উৎপাদিত সিএনজির (CNG Price) দাম কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। কেন্দ্র সরকার ১৬ অক্টোবর থেকে খুচরো বিক্রেতাদের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এর আওতায় সিএনজির (CNG Rate Hike) মোট চাহিদা কমেছে ৫০.৭৫ শতাংশ যা গত মাসে ছিল ৬৭.৭৪ শতাংশ। এর অর্থ হল সরকার খুচরো বিক্রেতাদের কাছে প্রাকৃতিক গ্যাসের অর্থাৎ সিএনজির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে আর সেই কারণে সিএনজির দাম বাড়ার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে।
শহরে কেন বাড়বে খুচরো সিএনজির দাম ?
সংবাদসূত্রের খবর, পুরনো ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত সিএনজির দাম সরকার নিয়ন্ত্রণ করে এবং এসব জায়গা থেকে বার্ষিক উৎপাদন কমেছে ৫ শতাংশ। এই কারণে কেন্দ্র সরকার শহরের গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থাগুলিকে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাসের খুচরো ক্রেতারা এই ঘাটতি পূরণের জন্য আমদানিকৃত ও ব্যয়বহুল এলএনজি কিনতে বাধ্য হবে যার ফলে সিএনজির দাম প্রতি কেজিতে ৪-৬ টাকা বেড়ে যেতে পারে।
আমদানি করা গ্যাসের দামে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে
পুরনো ক্ষেত্র থেকে আমদানি করা গ্যাসের দাম প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট ৬.৫০ মার্কিন ডলার দামে এবং আমদানি করা এলএনজির দাম প্রতি ইউনিটে ১১-১২ ডলারে। ২০২৩ সালের মে মাসের সিএনজির চাহিদার ৯০ শতাংশ পুরনো এলাকায় পাওয়া গ্যাসের মাধ্যমে পূরণ করা হচ্ছিল। তবে তা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। বাড়িতে রান্নার জন্য সরবরাহ করা গ্যাস সরংরক্ষিত থাকায় সিএনজির কাঁচামাল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
সিএনজির দাম কমাতে কী বিকল্প আছে কেন্দ্র সরকারের
বর্তমানে খুচরো গ্যাস বিক্রেতারা সিএনজির দাম বাড়ায়নি কারণ বর্তমানে তারা অন্য কোনো উপায় খুঁজতে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছেন। সূত্র বলছে জ্বালানি তেলের উপর আবগারি শুল্ক না কমালে সরকারের সিদ্ধান্তের পর সাধারণ গ্রাহকদের বোঝা বাড়তে পারে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Hyundai IPO GMP: লিস্টিংয়ের আগেই খারাপ খবর হুন্ডাই আইপিওতে ? সর্বনিম্ন জিএমপি শূন্য, কী করবেন ?