Cognigent CEO Salary: কোভিড পরিস্থিতি (Covid 19) , বিশ্বের আর্থিক মন্দা (Global Recession) এখন অতীত কথা। গত অর্থবর্ষ থেকেও বদলায়নি পরিস্থিতি। এখনও আইটি সেক্টরে (IT Sector) চলছে খারাপ দিন। যদিও এর কুফল ভুগছেন কেবল কর্মীরা। বহাল তবিয়তে রয়েছেন কোম্পানির সিইওরা(CEO Salary)। পরিসংখ্যান বলছে, কর্মীদের থেকে সিইওরা ১৬৪৭ গুণ বেশি টাকা নিচ্ছেন।


২০২৪ সালেও এই খাতে বদলায়নি পরিস্থিতি
গত বছর থেকে আইটি সেক্টরে খারাপ দিন চলছে। ভারতসহ সারা বিশ্বে চলছে কর্মী ছাঁটাই। খরচ কমানোর নামে লাখ লাখ কর্মচারীর চাকরি কেড়ে নিয়েছে কোম্পানি। পাশাপাশি কমেছে কোম্পানির ব্যবসা, যার ফলে তাদের রাজস্বও কমছে। এই বছর বেশিরভাগ আইটি কোম্পানি ক্যাম্পাস হায়ারিংও করছে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালটি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য খুব একটা সুখকর হবে না। 


যদিও নীচু তলার কর্মীদের চাকরি গেলেও কোম্পানি সিইও-দের কোটি টাকা বেতন দিচ্ছে। কগনিজেন্টের সিইও রবি কুমার সিংসেটি 2023 সালে প্রায় 186 কোটি টাকা ($22.5 মিলিয়ন) বেতন পেয়েছেন। কগনিজ্যান্টের আয় কমেলেও এই ঘটনা ঘটেছে কোম্পানিতে।  ভারতের দিকে তাকালে দেখা যাবে, সিইওদের কর্মচারীদের বেতনের প্রায় 1647 গুণ বেশি বেতন দেওয়া হচ্ছে। এই পরিসংখ্যান দেশে বেতন সংক্রান্ত একটি বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।


Cognizant এর আয় কমেছে
কগনিজেন্টের পারফরম্যান্স বিশেষ কিছু হয়নি। কোম্পানির আয় 0.3 শতাংশ কমে $19.4 বিলিয়ন হয়েছে। তারপরও কোম্পানিটি তার সিইও রবি কুমার সিংসেট্টিকে এককালীন পুরস্কারের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছে। এতে পারফরম্যান্স স্টক ইউনিট এবং নগদ সাইন-ইন বোনাসও রয়েছে। তার আগে ব্রায়ান হামফ্রিজ, যিনি ২০২৩ সালে কোম্পানির সিইও ছিলেন তাঁকে, $ 42 লক্ষ এবং CFO যতীন দালালকে $ 52 লক্ষ দেওয়া হয়েছিল।


বিশ্বের তুলনায় ভারতে বেতন অনেক কম
এই কারণে ভারতে সিইও এবং কর্মচারীদের মধ্যে বেতনের অনুপাত প্রায় 1647:1 হয়ে গেছে। বিশ্বে এই সংখ্যা 556:1। কোম্পানিগুলোর দুর্বল আর্থিক পারফরম্যান্স এবং শীর্ষ ব্যবস্থাপনার বিপুল বেতন এখন স্টেকহোল্ডারদের চোখে পড়ছে।  দেশে কর্মচারীদের গড় বেতন $13,735। বিশ্বে এই সংখ্যা $40,660। বর্তমানে বিশ্বে কর্মচারীদের বেতনের দিক থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে। অন্যদিকে, ভারতের সিইওদের অবিশ্বাস্য পরিমাণ বেতন দেওয়া হচ্ছে।


কগনিজেন্ট কর্মীদের ইনক্রিমেন্ট আটকে দেওয়া হয়েছে
সম্প্রতি, কগনিজেন্ট কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট 4 মাস পিছিয়ে দিয়েছে। এই কারণে কর্মচারীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ তৈরি করছে। এখন সিইওর প্যাকেজ শোনার পর, তিনি নিশ্চিত যে, একটি বড় ধাক্কা পাবেন। এখন এই অসন্তোষের খবর বাইরে আসার পর কোম্পানি ভবিষ্যতে কী করে তা এখন দেখার বিষয়। এছাড়াও কোম্পানির আসন্ন গাইডলাইনের ওপরও সব স্টেকহোল্ডারদের নজর থাকবে।


Fake Loan Apps: জাল লোন অ্যাপে ক্লিক করছেন না তো ? সব টাকা হারাবেন !