কলকাতা: শখ ছিল আইফোনের। ভাল অফার দেখে ফ্লিপকার্টে অর্ডার দিয়েছিলেন মুম্বইয়ের  এক ব্য়ক্তি। সঙ্গে সঙ্গে কার্ডে পেমেন্টও করে দিয়েছিলেন। হাতে নতুন আইফোন পাওয়ার অপেক্ষা ছিল কদিনের। কিন্তু তার আগেই মেসেজ দেখে আঁতকে ওঠেন তিনি। কিছু না জানিয়েই তাঁর অর্ডার বাতিল করে দিয়েছিল ফ্লিপকার্ট (Flipkart Allegation)। অভিযোগ তেমনটাই। তারপর বিস্তর টানাপড়েন, টাকা ফেরত পেয়েও এমন ভোগান্তিতে চুপ করে বসে থাকেননি ওই ব্যক্তি। সটান হাজির হয়েছিলেন ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের দোরগোড়ায়। আইনি প্রক্রিয়ার শেষে জয় পেলেন ওই ব্যক্তিই। এমন ভোগান্তির জন্য ওই ব্যক্তিকে ১০০০০ টাকা দেওয়ার জন্য ফ্লিপকার্টকে নির্দেশ দিয়েছে সেন্ট্রাল মুম্বইয়ের ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার ডিসপিউটস রিড্রেসাল কমিশন (District Consumer Disputes Redressal Commission)। 


ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত লাভ করার জন্য় ইচ্ছে করে সংস্থার তরফ থেকে অর্ডার বাতিল করা হয়েছে। এই কাজ আসলে পরিষেবায় ঘাটতি, অন্যায্য এবং ভুল ব্যবসা পদ্ধতি। গত মাসে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ আদেশ মিলেছে এই রবিবার।   


এনডিটিভি-সূত্রের খবর, ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, ক্রেতা রিফান্ড পেয়ে গেলেও তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ সংস্থার কাজের জন্য তাঁর মানসিক যন্ত্রণা হয়েছে, ভোগান্তি হয়েছে। একতরফা ভাবে অর্ডারটি বাতিল করা হয়েছিল। 


অভিযোগ কী ছিল?
দাদারের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ফ্লিপকার্টে (Flipkart Order Problem) একটি আইফোন অর্ডার দিয়েছিলেন ২০২২ সালের ১০ জুলাই। সেই সময়েই ক্রেডিট কার্ড ব্য়বহার করে ৩৯৬২৮ টাকা দাম মিটিয়েছিলেন। ১২ জুলাই ফোন হাতে পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাননি, বরং ৬ দিন পরে একটি মেসেজ করা হয় ফ্লিপকার্টের তরফ থেকে। সেখানে লেখা ছিল ওই অর্ডার বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু কেন বাতিল অর্ডার? ব্যক্তির অভিযোগ, সংস্থার তরফ থেকে বলা হয় ডেলিভ্যারি দিতে এসে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি তাই অর্ডার বাতিল করা হয়েছে।  


এনডিটিভি সূত্রের খবর, মামলার সময় ফ্লিপকার্ট (Flipkart Order Cancel) দাবি করেছিল তারা শুধু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। এটা বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে সমস্যা। কিন্তু কমিশন এটা মানতে চায়নি। এরই মধ্যে আরও একটি তথ্য সামনে উঠে আসে। অভিযোগকারীর দাবি ছিল, তাঁর অর্ডার বাতিল করা হয়েছিল সেটা নিয়ে যখন তিনি অভিযোগ করেছিলেন তখন তাঁকে নতুন করে অর্ডার করতে বলা হয়। পরে তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, পরে ওই ফোনটির দাম ৭০০০ টাকা বেড়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ পরে অর্ডার করলে ওই অতিরিক্ত টাকা দিতে হতো অভিযোগকারীকে। তখনই কমিশন সিদ্ধান্তে আসে যে শুধুমাত্র অতিরিক্ত লাভের কারণেই এই সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। তারপরেই কমিশন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।


আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে ঝুপড়ির উপর ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বহুতল! বহু হতাহতের আশঙ্কা