How To Became Crorepati: কম সময়ে কোটিপতি হওয়ার ইচ্ছে থাকে না কার !বেতনভুক কর্মচারী, ব্যবসায়ী ছাড়াও সবার মনেই থাকে এই আর্থিক স্বচ্ছলতার বাসনা। যদিও আপনার ভুল বিনিয়োগের (Investment) সিদ্ধান্তই আপনাকে কোটিপতি হতে দেয় না। জেনে নিন, ঠিক কীভাবে বিনিয়োগ করলে কম সময়ে কোটিপতি হতে পারবেন আপনি।
Crorepati Map : কীভাবে হবেন কোটিপতি
আগে বিনিয়োগ শুধুমাত্র আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং স্মার্টফোনের আসার সঙ্গে সঙ্গে অনেক ধরনের বিনিয়োগের অপশন সামনে এসেছে, যা ব্যক্তিদের আর্থিক লক্ষ্য পূরণের সুযোগ দেয়। আপনিও মেপে পা ফেললে বিনিয়োগের মাধ্যমে 1 কোটি টাকার তহবিল জমা করতে পারবেন।
অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ কমিয়ে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ করলে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নকে সত্যি করতে পারেন সবাই। একটি স্মার্ট বিনিয়োগ কৌশল ছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয় রয়েছে যা আপনার 1 কোটি টাকার স্বপ্নের লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনার বিবেচনা করা উচিত।
জেনে নিন ৫টি টিপস যা আপনাকে কোটিপতি হতে সাহায্য করতে পারে।
1. বিনিয়োগের চাবিকাঠি
কোটিপতি হওয়ার প্রথম এবং প্রধান উপায় হল বিনিয়োগ যার জন্য প্রয়োজন সঠিক সময়ে স্মার্ট সিদ্ধান্ত। বিনিয়োগের আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং বিনিয়োগের আগে তাদের আর্থিক লক্ষ্য এবং ঝুঁকি অনুযায়ী সঠিক কৌশল কী তা জানতে হবে। কমপাউন্ড ইন্টারেস্ট বা চক্রবৃদ্ধি সুদের শক্তি উপলব্ধি করতে হবে বিনিয়োগকারীকে।
2. বিনিয়োগে বৈচিত্র্য থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ
প্রতি ধনী ব্যক্তি বিভিন্ন জায়াগায় বিনিয়োগের মাধ্যমে বড় তহবিল জমা করেন। সেই ক্ষেত্রে আপনি রিয়েল এস্টেট, স্টক মার্কেট, মিউচুয়াল ফান্ড, সোনা ও রূপার মতো পণ্যের পাশাপাশি সরকারি স্কিম, বন্ড ইত্যাদির মতো বিকল্প বিনিয়োগের মতো অনেকগুলি বিকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন।
বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগের মাধ্যমে টাকা রাখলে, কোনও জায়গায় ক্ষতি হলে অন্য জায়গা থেকে লাভ তুলে নিতে পারবেন।
3. একটি ৫০-৩০-২০ বাজেটের নিয়ম মেনে চলুন
বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বাজেট প্ল্যানিং একটি বড় বিষয়। কোনও অযাচিত খরচ না বাড়িয়ে বাজেট প্ল্যানিংয়ে মন দিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ব্যক্তিগত বিনিয়োগের নিয়ম অনুসারে বাজেটকে 50-30-20 বিভাগে ভাগ করা উচিত। 50 শতাংশ প্রয়োজনে ব্যয় করার জন্য বরাদ্দ করা উচিত, 30 শতাংশ আপনি কী পেতে চান তার জন্য বরাদ্দ করুন। বাকি 20 শতাংশ সঞ্চয়ের জন্য ব্যয় করা উচিত।
4. জরুরি অবস্থার জন্য কভার আছে
যে কেউ জরুরি পরিস্থিতি বা জীবনের অপ্রত্যাশিত ঘটনার মুখোমুখি হতে পারেন। স্বাস্থ্য থেকে ভারী আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারি আমরা যে কেউ। সুতরাং, এই ধরনের পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আপনার সম্পদ এবং জীবন রক্ষা করার জন্য বিমা পরিকল্পনা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বিনিয়োগ পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য বিমা, মেয়াদি বিমা এবং জিবন বিমা পরিকল্পনা রাখা উচিত।
5. অপ্রয়োজনীয় বিলাসবহুল আইটেম খরচ বন্ধ করুন
অনেক মধ্যবিত্ত ব্যক্তিদের জীবনকে পরিপূর্ণভাবে বাঁচানোর জন্য ব্যয়বহুল জিনিসপত্র, বাজেটের বাইরের বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি এবং গ্যাজেটের মতো বিলাসবহুল পণ্য কেনার অভ্যাস রয়েছে। এই ধরনের আইটেমগুলির খরচ প্রায়ই অতিরিক্ত আর্থিক বোঝার দিকে নিয়ে যায়। এই খরচগুলির সবচেয়ে খারাপ অংশ হল কখনও শেষ না হওয়া EMI, লোন এবং ক্রেডিট কার্ড বিল৷ তবে, একজনকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে এবং বাজেট-বান্ধব গাড়ি, মোবাইল বা আনুষাঙ্গিকগুলি সন্ধান করতে হবে যা আপনাকে ভবিষ্যতের জন্য কিছু অর্থ সঞ্চয় করতে সাহা্যয় করতে পারে।
Health Insurance: স্বাস্থ্য়বিমা নেওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে অনেক সমস্যা, এগুলি জানেন ?