Govt. On Cryptocurrency: আর কোনও রাখঢাক রইল না। দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি আনা নিয়ে মুখ খুলল সরকার। ভারতে ক্রিপ্টো নিয়ে অর্থমন্ত্রকের পরিকল্পনা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী।
Cryptocurrency In India: বাজেটে দেশে ডিজিটাল কারেন্সি আনার কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেই থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি ডিজিটাল কারেন্সির নামে ক্রিপ্টোকারেন্সির কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার ? অবশেষে অতি উৎসাহীদের সেই জল্পনায় জল ঢাললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। রাজ্যসভায় লিখিত বিবৃতিতে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরকারের এরকম কোনও পরিকল্পনা নেই।
Govt On Cryptocurrency: এক লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ভারতে এখনও ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি অনিয়ন্ত্রিত রয়েছে। “আরবিআই ক্রিপ্টোকারেন্সি জারি করে না। ১৯৯৪ সালের RBI ACT মেনে প্রথাগত কাগজের মুদ্রাকেই দেশে আইনি দরপত্র হিসাবে ধরা হয়। সেখানে ঐতিহ্যগত কাগজের মুদ্রার ডিজিটাল সংস্করণকে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC) বলে ।” মন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে দেশে পর্যায়ক্রমে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি আনার পরিকল্পনা চলছে। কম সংখ্যায় এই ডিজিটাল কারেন্সি বাজারে এনে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে তার প্রয়োগ করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। পরবর্তীকালে এর সুবিধা, অসুবিধা বোঝার পরই পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ভাবা হবে।
Digital Currency In India: অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে ডিজিটাল কারেন্সি কিছু সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে। সেক্ষেত্রে সব সময় নগদে লেনদেনের চিন্তা কমবে। লেনদেনের মূল্য কমে যাওয়ায় এরফলে উপকৃত হবে দেশবাসী। সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে এখন নোটের মুদ্রণ সময়ের সাথে সাথে হ্রাস পেয়েছে। ২০১৯-২০ সালে ৪৩৭৮ কোটি টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল। যা ২০২০-২১ সালে ৪০১২ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এই সংখ্যাই বলে দিচ্ছে দেশে নগদ নির্ভরতার দিকে এগোচ্ছে সরকার।
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী। দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়েও নিজের মতামত ব্যক্ত করেন তিনি। যেখানে পঙ্কজ চৌধুরী বলেন, শেয়ার বাজারও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দর্শায়। স্থিতিশীল স্টক মার্কেট দেশের আর্থিক স্বাস্থ্যের মূল্যায়ন সূচক। স্টক মার্কেটগুলি মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। কারণ স্টকের দামগুলি ভবিষ্যতের কথা ভেবেই কিনতে থাকে বিনিয়োগকারীরা। যার সরাসরি প্রভাব পরে বাজারের প্রত্যাশার ওপর। পরবর্তীকালে যা দেশের অর্থনীতিতে প্রতিফলিত হয়।