Share Market Update: সুপ্রিম কোর্টে আদানি মামলার প্রসঙ্গে আগেই এই কথা বলেছিল সিকিউরিটিজ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)।  আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলার পরই ধস নেমেছিল ভারতের শেয়ার বাজারে। যার তদন্তে নেমে এবার নতুন তথ্য় হাতে এসেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার। 


Adani-Hindenberg Issue: সেবির নজরে ১২ টিরও বেশি সংস্থা
২৪ জানুয়ারি আদানি গ্রুপ সম্পর্কিত হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট সামনে আসার পরই ধস নামে আদানি গ্রুপের শেয়ারে। বিদেশের পাশাপাশি ভারতের স্টক এক্সচেঞ্জে বহু সংস্থা আদানি গ্রুপের শেয়ার শর্ট সেল করে লাভের মুখ দেখে। তখন থেকেই প্রশ্ন ওঠে, আদানি গ্রুপের শেয়ার বিক্রি করে কোন বিনিয়োগকারীরা মুনাফা লাভ করেছেন ? রিপোর্ট বলছে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টের আগে ও পরে আদানি গ্রুপের শেয়ার শর্ট সেলিং করা এক ডজনেরও বেশি দেশি ও বিদেশি সংস্থা সেবি নজরে এসেছে।


Stock Market Update: আদানি গ্রুপে শর্ট সেল করে ৩০ হাজার কোটির লাভ  করেছে এরা
স্টক মার্কেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত কয়েক বছরে আদানি গ্রুপের শেয়ারের বিশাল উত্থানের তদন্ত করছে। এর সঙ্গে এটি আদানি গ্রুপের শেয়ার বিক্রি করে বিপুল মুনাফা করেছে এমন সংস্থাগুলির শেয়ারের ট্রেডিং প্যাটার্ন ও ট্রেড ডেটাও পরীক্ষা করছে। আদানি গোষ্ঠীর স্টকগুলিতে এই সংস্থাগুলির ট্রেড প্যাটার্ন দেখায় যে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার আগে ও পরে এই কোম্পানিগুলি ৩০ হাজার কোটি টাকার লাভ করেছে৷


Adani-Hindenberg Issue: হিন্ডেনবার্গের সঙ্গে বাজারে কাদের যোগ ? 
মূলত, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের সঙ্গে বাজারে কোনও কারও যোগ রয়েছে কিনা তা বুঝতে চাইছে সেবি। SEBI এই নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য যাবতীয় তদন্ত করছে। সেবি আসলে জানতে চাইছে, এই শর্ট সেলিং সংস্থাগুলি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের ক্লু আগেই পেয়েছিল কিনা। ভারতের শেয়ার বাজারের সাম্প্রতিক অতীত বলছে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট আসার পর আদানি গ্রুপের শেয়ার 85 শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। গ্রুপের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির মার্কেট ক্যাপ ১৩৫ বিলিয়ন ডলার কমেছে। তবে জিকিউজি পার্টনারস গ্রুপের শেয়ার কেনার পর গ্রুপটির শেয়ারে বড় ধরনের রিকভারি হয়েছে।


RBI Update: হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পরই এই নজরদারি
গত ২৪ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আর্থিক হিসাবে কারচুপির অভিযোগ আনে শর্ট সেলিং সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। এই কোম্পানির গবেষণা রিপোর্ট সামনে আসার পরই ধস নামে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে। রিপোর্টে বলা হয়, ব্যাঙ্কগুলিতে সর্বাধিক বকেয়া ঋণ রয়েছে আদানিদের৷ যা শোধ করতে পারবে না কোম্পানি।


এরপরই ৮৫ শতাংশ স্টকে ধস নামে আদানিদের। যা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নবাণের মুখে পড়তে হয় মোদি সরকারকে। এবার সেই কারণেই আরবিআই ব্যাঙ্কঋণ নেওয়া ২০ উদ্যোগপতির ওপর নজর রাখছে।


আরও পড়ুন : SBI, HDFC না ICICI, কোন ব্যাঙ্কের এফডিতে আগে দ্বিগুণ হবে টাকা ?