Trump On BRICS Currency: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন পর্বের (Bangladeshi Hindu Protest) মধ্যেই এবার ভারতের (India) চিন্তা বাড়ালেন আমেরিকার সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। শনিবার ভারত সহ আরও ৯টি দেশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কী বলেছেন তিনি ?
কী নিয়ে এই হুঁশিয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের
আমেরিকার প্রেসিডেট নির্বাচনে জয়ী হলেও এখনও পদে বসেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটন সামলাচ্ছেন 'লেমডাক প্রেসিডেন্ট' জো বাইডেন। এরই মধ্যে ব্রিকস দেশগুলির জন্য ট্রাম্পের নতুন হুঁশিয়ারি। যেখানে ব্রিকস দেশগুলি যদি মার্কিন ডলারের ক্ষতি করে তাহলে তাদের ওপর ১০০% শুল্ক আরোপের বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। এখানেই ৯টি দেশের কথা বলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের এই তালিকায় রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি নিয়ে গঠিত তথাকথিত BRICS জোট। সম্প্রতি এই তালিকায় যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে তুরস্ক, আজারবাইজান, মালয়েশিয়া-সহ আরও কয়েকটি দেশ।
কেন ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি
বিশ্বের অর্থনৈতিক মানচিত্র বলছে, মার্কিন ডলার এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা। অতীতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েও টিকে আছে এই মুদ্রা। যদিও বর্তমান বিশ্বে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলি বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে আমেরিকার আধিপত্য নিয়ে বিরক্ত। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন মুদ্রা চাইছে উন্নয়নশীল দেশগুলি।
ঠিক কী বলেছেন ট্রাম্প
একটি ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, "আমাদের এই দেশগুলির কাছ থেকে একটি প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন। তারা যেন শক্তিশালী মার্কিন ডলার বদলের জন্য একটি নতুন ব্রিকস মুদ্রা তৈরি না করে। যদি তারা এই কাজ করে, তাহলে তারা 100% শুল্কের মুখোমুখি হবে। পাশাপাশি শক্তিশালী মার্কিন অর্থনীতিতে পণ্য বিক্রির বিষয় ভুলে যেতে হবে তাদের।''
পুতিনের থেকেই ব্রিকস কারেন্সির জল্পনা
আসলে অক্টোবরে ব্রিক দেশগুলির এক শীর্ষ সম্মেলনে ডালারের বিকল্প মুদ্রার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছিলেন, আমেরিকা আসলে মার্কিন ডলারকে "অস্ত্র" হিসাবে ব্যবহার করেছে। এটি তাদের সবচেয়ে "বড় ভুল"। পুতিন সেই সময় বলেছিলেন, " আমরা ডলার ব্যবহার করতে অস্বীকার করিনি। কিন্তু আমাদের যদি কাজই করতে না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা কী করতে পারি? আমরা বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হচ্ছি।"
গত ব্রিকস সম্মেলনেই ব্রিকস কারেন্সি নিয়ে কথা
গতবারের ব্রিকস সন্মেলনেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের হাতে একটি মুদ্রার ছবি দেখা যায়। সম্ভবত ব্রিকস কারেন্সির বাস্তবায়ানে সেই ছবি সবথেকে বড় জল্পানর জন্ম দেয়। যার পর থেকেই চিন্তা বাড়ে আমেরিকার। এখন সেই চিন্তাই ফউটে উঠেছে সদ্য জয়ী ট্রাম্পের মুখে। রাশিয়া বিশেষভাবে একটি নতুন পেমেন্ট সিস্টেম তৈরির করতে চাইছে। যা গ্লোবাল ব্যাঙ্ক মেসেজিং নেটওয়ার্ক, SWIFT এর বিকল্প হিসাবে কাজ করবে। মস্কো এর মাধ্য়মে পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞাগুলি উপেক্ষা করে এই মুদ্রার মাধ্য়মে অংশীদারদের সঙ্গে বাণিজ্য করতে চায়।
ভারতের কেন চিন্তা বাড়ল
ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চিন ও সাউথ আফ্রিকা BRICS দেশের অন্তর্ভুক্ত। তাই ব্রিকস কারেন্সি বাস্তবায়িত হলে ভারতের চিন্তা বাড়বে। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি অনুযায়ী, ভারতকেও তাহলে আমেরিকায় বাণিজ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। তাই 'বন্ধু' ট্রাম্পই এখন মোদির চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
Wedding Stocks: ৪৮ লাখ বিয়ে ! এই মরশুমে ছুটবে ৫টি কোম্পানির স্টক, বলছে মতিলাল ওসওয়াল