নয়াদিল্লি: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় সুফল এনে দিয়েছে ধনকুবের ইলন মাস্ককে। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি মাস্ক সম্পদের নিরিখে আরও ফুলেফেঁপে উঠলেন। এখনও একমাস হয়নি দ্বিতীয়বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প। আর তার মধ্যেই মাস্কের সম্পদ একলাফে ৭ হাজার কোটি বেড়ে গেল। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে মাস্কের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪০ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ৩৪ হাজার কোটি ডলারের বেশি, যা পৃথিবীর ইতিহাসে রেকর্ড বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। (Elon Musk)
এবারের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন মাস্ক। ট্রাম্পকে জেতাতে কোনও কসুর করেননি তিনি। নিজের পকেট থেকে ঢেলেছিলেন প্রায় ২০ কোটি ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা। আর নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর থেকে মাস্কের সম্পত্তিতে আরও ৫ লক্ষ ৯১ হাজার কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) যুক্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ ২৯ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। পৃথিবীর ইতিহাসে কেউ এত ধনী হননি বলে দাবি অর্থনীতিবিদদের একাংশের। (Elon Musk the Richest Man)
মাস্কের গাড়ি সংস্থা Tesla এবং যন্ত্রমেধা সংস্থা xAI, দুইয়ের শেয়ারই দুরন্ত গতিতে উপরে উঠছে। ২২ নভেম্বর তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪০ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২৯ লক্ষ কোটির টাকার মাত্রা অতিক্রম করে যায়। ট্রাম্পের জয়ই মাস্ককে এত মুনাফা এনে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধুমাত্র পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তিই নন মাস্ক, ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির শিরোপা উঠল তাঁর মাথায়।
যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে, সেই অনুযায়ী, গত কয়েক সপ্তাহে xAI-এর বাজারমূল্য বেড়ে ৫০ বিলিয়নে পৌঁছে গিয়েছে। xAI-তে মাস্কের ৬০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা SpaceX-ও লাভজনক জায়গায় রয়েছে। তাতে মাস্কের অংশীদারিত্ব ৪২ শতাংশ। SpaceX-এর বাজারমূল্য ২১০ বিলিয়ন ডলার। Tesla-য ১৩ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে মাস্কের।
পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় এই মুহূর্তে একেবারে শীর্ষে রয়েছেন মাস্ক। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ল্যারি এলিসন, তৃতীয় জেফ বেজোস, চতুর্থ মার্ক জাকারবার্গ, বার্নার্ড আর্নো অ্যান্ড ফ্যামিলি পঞ্চম, ষষ্ঠ ওয়ারেন বাফে, সপ্তম ল্যারি পেজ, অষ্টম সেরগেই ব্রিন, নবম আমানচিও আর্তেগা এবং দশম জেনসেন হুয়াং।
বিশ্বের সেরা ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ল্যারির সঙ্গে মাস্কের সম্পত্তির ফারাক প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলারের। জানুয়ারি মাসে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করলে মাস্কের ভাগ্য আরও খুলে যাবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।