Elon Musk : কিশোর বয়সেই বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ। ছোট্ট এলন এলেন বাবার সঙ্গে। পাইলট বাবার হাত ধরেই এলনের স্বপ্নের উড়ানের পাড়ি দেওয়া শুরু। মাত্র 12 বছর বয়সে ভিডিও গেমের কোড তৈরি। পরে যা $ 500-এ বিক্রি করেছিলেন মাস্ক। সেই থেকেই সরস্বতীর ওপর ভরসা করে তাঁর লক্ষ্মীলাভ শুরু। পরবর্তীকালে বাকিটা ইতিহাস।


Elon Musk Success: এলন মাস্কের সাফল্যের সিড়ি
স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য 1988 সালে কানাডিয়ান পাসপোর্ট পান মাস্ক। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন তিনি। সেখান থেকে 1992 সালে চলে যান ফিলাডেলফিয়ার পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে । 1997 সালে পদার্থবিদ্যা ও অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন মাস্ক। পরবর্তীকালে ক্যালিফোর্নিয়ায় স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করতে ভর্তি হন মাস্ক। যদিও মাত্র দুদিনেই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যান তিনি।


Elon Musk Success: কেন দু'দিনেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন মাস্ক ?


সাধারণ জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত ছিলেন না মাস্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেও পদার্থবিদ্যা বা ফিজিক্সের থেকে ইন্টারনেটে সমাজ পরিবর্তনের সম্ভাবনা বেশি দেখেছিলেন তিনি। তারপর যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। রাতারাতি ইন্টারনেট স্টার্টআপ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন ট্যুইটারের মালিক। Zip2 নামে একটি কোম্পানি শুরু করেন তিনি। পরবর্তীকালে বেড়েই চলে তাঁর কোম্পানির সংখ্যা। যাতে হাত দিচ্ছিলেন ফলছিল সোনা।


Elon Musk Success: পৃথিবী থেকে লক্ষ্য মহাকাশে
কলেজের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন মাস্ক। টাকা হাতে এলেও দুনিয়া বদলে দেওয়ার চিন্তা ভুলতে পারছিলেন না তিনি। সেই থেকে পৃথিবীর পাশাপাশি মহাকাশ নিয়ে শুরু হয় তাঁর আগ্রহ। 2003 সালে রকেট কিনতে রাশিয়ায় পৌঁছন মাস্ক। যদিও কয়েক মিলিয়ন ডলার মাত্র একটি রকেট পেয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছেটা আরও বেড়ে যায় মাস্কের। নিজেই রকেট তৈরির জেদ চেপে গেল মাস্কের মধ্যে। রকেট সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেন মাস্ক। এক বছরের মধ্যে নিজের রকেট তৈরি ফেলেন এই ধনকুবের। তৈরি করেন নিজের স্পেসএক্স কোম্পানি।


Elon Musk Success: টেসলা বদলে দেয় মাস্কের জীবন


এখানেই থেমে থাকেনি মাস্কের দুনিয়া জয়ের অভিযান। বিশ্বকে নতুন কিছু দেওয়ার জন্য সবসময় এক ধাপ এগিয়ে থেকেছেন তিনি। সেই থেকে জন্ম নিয়েছে ইলেকট্রিক গাড়ির প্রতি তাঁর আগ্রহ। যার ফলস্বরূপ জন্ম নিয়েছে টেসলা। সারা বিশ্বে কার্বন এমিশন কমাতে এক বড় পদক্ষেপ এই 'অল ইলেকট্রিক কার'। পরিবেশ নিয়ে সচেতনতার জেরে এলন মাস্ক আজ সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত নাম। তাঁর কৃতিত্বের পিছনে টেসলার বিরাট অবদান রয়েছে। বলতে গেলে, এই টেসলা থেকেই বিশ্বের ধনকুবের হয়ে ওঠেন মাস্ক। যদিও এখানেই থেমে থাকছে না মাস্কের ভাবনা। এবার ট্যুইটার কিনে নতুন কিছু উদ্ভাবনের কথা ভাবছেন তিনি। আপাতত সেই দিকে নজর রয়েছে বিশ্ববাসীর।


​​আরও পড়ুন : Elon Musk: বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, পড়াশোনা কতদূর এলন মাস্কের ?