নয়াদিল্লি: ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনে ভুল বার্তা প্রচার এবং অসৎ ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের জেরে এই সংস্থাকে ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করল দিল্লির ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশন। ইমামির 'ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম' ক্রিমকে (Emami’s Fair & Handsome) ঘিরেই বিতর্ক তুঙ্গে। সংস্থাকে আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে অবিলম্বে এই পণ্যের (Fairness Cream) সমস্ত বিজ্ঞাপন সমস্ত মাধ্যম থেকে মুছে ফেলতে হবে। তিন সপ্তাহের মধ্যে ফর্সা করে দেওয়ার দাবি করেছে সংস্থা যা প্রতারণামূলক এবং সমর্থনযোগ্য প্রমাণের অভাবে তা ভোক্তা অধিকার আইন (Consumer Forum) লঙ্ঘন করেছে। আর তাই ভোক্তা আদালতের পক্ষ থেকে জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।


কমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'ইমামির ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম ক্রিমের প্যাকেটের পিছনে কিছু নির্দেশিকা লেখা ছিল যাতে বলা হয়েছে যে এই ক্রিম তিন সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার করলে পুরুষের ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, অথচ এই নির্দেশ ছিল অসম্পূর্ণ এবং এর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন না করে ব্যবহারে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলবে না, তাও লেখা ছিল সেখানে। ফলে এই বিজ্ঞাপনী প্রচার সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এবং পণ্যের বিক্রি বাড়ানোর জন্য এটি একটি ব্যবসায়িক পন্থা যা বৈধ নয়।


আর এই বিচারের ফলস্বরূপ সোমবার কমিশনের পক্ষ থেকে ইমামিকে এই ক্রিমের সমস্ত বিজ্ঞাপন মুছে ফেলতে বলা হয় সমস্ত মাধ্যম থেকে। আর একইসঙ্গে সংস্থাকে ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় যার মধ্যে ১৪.৫ লক্ষ টাকা জমা করা হবে দিল্লির স্টেট কনজিউমার ওয়েলফেয়ার ফান্ডে এবং বাকি ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে অভিযোগকারীকে।


ইমামির এই ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম ক্রিমকে কেন্দ্র করে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নিখিল জৈন। তিনি লিখেছেন যে, ৭৯ টাকা দিয়ে এই ক্রিম কিনেছিলেন তিনি, নির্দেশ মেনে এটি ব্যবহারও করেন তিনি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল মেলেনি এই পণ্যে। আর অন্যান্য কোনো প্রভাবও দেখা যায়নি, ফলে এই পণ্যের বিজ্ঞাপনী প্রচার সম্পূর্ণ ভুয়ো। আর তাই নিখিল জৈন নামের সেই ব্যক্তি ইমামির বিরুদ্ধে মামলা করে এক বছরের বিজ্ঞাপন সংশোধনী, ১৯.৯ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ এবং ১০ হাজার টাকা মামলার খরচ বাবদ চেয়েছিলেন।


যদিও ইমামি সংস্থা সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দাবি করেছে যে এই পণ্য বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে, সমস্ত নিয়ন্ত্রক নির্দেশাবলী মানা হয়েছে।


আরও পড়ুন: Egg Price Hike: শীত বাড়তেই পকেটে টান, ডিম কিনতে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের; কেন এত বাড়ল দাম ?