Digital Address ID: ভারতে কেন্দ্র সরকার নাগরিকদের অনন্য পরিচয়ের জন্য চালু করেছে আধার পরিষেবা, আধার কার্ড এখন দেশের নাগরিকদের অন্যতম প্রধান পরিচয়পত্র। এরপরে ডিজিটাল পেমেন্টের দুনিয়ায় চালু করা হয়েছে ইউপিআই পরিষেবা। এখন কেন্দ্র সরকার আরও একটি নতুন পদক্ষেপ করতে চলেছে। সরকার চায় প্রত্যেক নাগরিকের কাছে নিজের ডিজিটাল পরিচয়পত্র থাক। এর সাহায্যে কারও বাড়ি বা অবস্থান খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে, দ্রুত খুঁজে পাওয়া যাবে। বিশেষত সমস্ত সরকারি প্রকল্পের জন্য এই পরিষেবাটিকে জরুরি বলে মনে করেছে কেন্দ্র।

এর জন্য ভারত সরকার বর্তমানে দেশের ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যাট্রিক্সের মধ্যে নাগরিকদের ঠিকানাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। বর্তমানে এমন কোনও ব্যবস্থা নেই যার মাধ্যমে দেশের যে কাউকে এভাবে খুঁজে বের করা যায়।

সরকার এই মর্মে একটি বিল পাশ করাতে পারে

এই সিস্টেমটি তৈরি করছে ভারতের ডাক বিভাগ। এই সিস্টেম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে থাকবে। সাধারণ মানুষের পরামর্শের জন্য শীঘ্রই একটি খসড়া সংস্করণ শেয়ার করা হবে এবং চূড়ান্ত সংস্করণটি এই বছরের শেষ নাগাদ প্রকাশিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর সঙ্গেই শীতকালীন অধিবেশনে সংসদ কর্তৃক এই বিষয়ে একটি আইন পাশ করা যেতে পারে যাতে ডিজিটাল অ্যাড্রেস ব্যবস্থা দেখাশোনার জন্য একটি নতুন কর্তৃপক্ষ বা কমিটি তৈরি করা হতে পারে। এমন অনেক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেশের সংস্থাগুলি নাগরিকের সম্মতি ছাড়াই তাদের ঠিকানার তথ্য শেয়ার করেছে। এই অভ্যাস বন্ধ করার জন্য সরকার এমন পদক্ষেপ করতে চায় যাতে কোনও ব্যক্তির বাড়ির ঠিকানা তাঁর সম্মতি ছাড়া শেয়ার করা যাবে না অন্য কারো সঙ্গে। যখন কেউ অনলাইনে কেনাকাটা করেন বা কুরিয়ার সার্ভিস বা খাবার ডেলিভারির কাজ করেন, তখন সঠিক ঠিকানার গুরুত্ব সবথেকে বেশি দরকার হয়ে পড়ে।

ডিজিটাল আইডি সুরক্ষিত হবে

অনেকেই সঠিক ও স্পষ্ট হস্তাক্ষরে নিজের ঠিকানা লিখতে পারেন না। অনেক সময় কেউ কেউ নিকটবর্তী ল্যান্ডমার্ক লিখে ছেড়ে দেন। ফলে অসম্পূর্ণ ঠিকানার কারণে উল্লিখিত স্থানে পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়ে যায় ডেলিভারি ম্যানের। একটি সমীক্ষা অনুসারে এই ধরনের ঠিকানা বিভ্রান্তির কারণে প্রতি বছর দেশের প্রায় ১০-১৪ বিলিয়ন টাকার অপচয় হয়, যা দেশের জিডিপির প্রায় ০.৫ শতাংশ।

রিপোর্ট অনুসারে ডিজিটাল ঠিকানার জন্য একটি ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হচ্ছে। ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রেও একটি মানদণ্ড থাকবে। এর মাধ্যমে যে কোনও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নাগরিকদের আসল ঠিকানা পেয়ে যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। কিন্তু এর জন্য অনুমতি নিতে হবে সেই নাগরিকের থেকে, আর এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে।