নয়াদিল্লি: পেট্রোল ও ডিজেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। পেট্রোলের দাম ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি পার করেছে। ডিজেলের দামও খুব একটা পিছিয়ে নেই। এরইমধ্যে কেন্দ্র পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটি-র আওতায় নিয়ে আসতে পারে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা হতে পারে। শুক্রবার লখনউতে এই বৈঠক হবে।  সূত্রের খবর, জিএসটি কাউন্সিল কোভিড-১৯ চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীতে কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।


উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই পেট্রোল ও ডিজেলকে জাতীয় অভিন্ন কর কাঠামো পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি)-এর আওতায় নিয়ে আসার দাবি উঠছে। জুন মাসের গোড়ায় একটি লিখিত পিটিশনের ভিত্তিতে কেরল হাইকোর্ট কাউন্সিলকে পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটি-র আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে। হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে পেট্রোল ও ডিজেলতে জিএসটি কাঠামোর মধ্যে আনার বিষয়টি কাউন্সিলে আলোচনার জন্য  পেশ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এই কাউন্সিল কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত। 


উল্লেখ্য, ২০১৭-র ১ জুলাই যখন জাতীয় জিএসটি-তে এক্সাইজ ডিউটির মতো কেন্দ্রীয় ও ভ্যাটের মতো রাজ্য পর্যায়ের কর অন্তভূক্ত করা হয়েছিল, তখন পেট্রোল, ডিজেল, এটিএফ, প্রাকৃতিক গ্যাস ও অপরিশোধিত তেলের মতো পাঁচটি পেট্রো পণ্যকে এর আওতার বাইরে রাখা হয়। কারণ, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির তহবিল অনেকটাই নির্ভর করে এই পণ্যগুলি থেকে সংগৃহীত করের ওপর। 


কোভিড-১৯ সংক্রান্ত অত্যাবশ্যক পণ্যে কর ছাড় সংক্রান্ত সুবিধার মেয়াদ বৃদ্ধির পাশাপাশি কমপেশন সেস জারি রাখার পন্থাপদ্ধতি নিয়ে কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা করা হতে পারে। কোভিড ১৯ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ক্ষেত্রে করের হার ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমানো হয়েছিল। গত ১২ জুন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। 


২০ মাস পর এই প্রথম সশরীরে উপস্থিত থেকে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হবে। ২০১৯-এর ১৮ ডিসেম্বরের পর এই প্রথম সশরীরে উপস্থিত থেকে এই বৈঠক হবে।