PM Modi : শীঘ্রই বদলে যাবে অনেক জিনিসের দাম। এবার নতুন জিএসটি সংস্কারের (GST Reforms) আওতায় ১২ ও ২৮ শতাংশ স্ল্যাব বাদ দিয়ে ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ স্ল্যাব রাখার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে মন্ত্রী পরিষদ। এই বিষয়ে মতিলাল ওসওয়াল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (Motilal Oswal LTD) লিমিটেডের অ্য়াসেট ম্যানেজমেন্টের রিসার্চ চিফ সিদ্ধার্থ খেমকা বলেছেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ঘোষিত পরবর্তী প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার বাস্তবায়নের দিকে এটি প্রথম বড় পদক্ষেপ। এখন সেপ্টেম্বরে জিএসটি কাউন্সিল এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবেমন্ত্রী পরিষদের অনুমোদনের পর ২৮ শতাংশ স্ল্যাব ১৮ শতাংশে এবং ১২ শতাংশ স্ল্যাব ৫ শতাংশ স্ল্যাবে চলে আসবে। জিএসটি হ্রাসের ফলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হ্রাস পাবে ও আরও অনেক জিনিস সস্তা হয়ে যাবে। সংশোধিত জিএসটি হার বাস্তবায়নের পরে যে সমস্ত জিনিস সস্তা ও ব্যয়বহুল হতে পারে তার একটি তালিকা এখানে দেওয়া হল।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের কী হবেএই নতুন জিএসটি সংস্কারের পর ওষুধ থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাত খাবার, অ্যালকোহলমুক্ত পানীয় ও কিছু দুগ্ধজাত পণ্যের উপর বর্তমানে ১২ শতাংশ হারে জিএসটি ধার্য করা হয়েছে। জিএসটি সংস্কারের ফলে এই সমস্ত জিনিসের দাম কমতে পারে। হোটেল রুম ও কিছু নির্মাণ সামগ্রীও বর্তমানে ১২ শতাংশের মধ্যে পড়ে।
এয়ার-কন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটরের দাম বাড়বেযদি আপনি একটি নতুন ফ্রিজ বা এসি কিনতে চান, তাহলে তাদের দামও কমতে চলেছে। কারণ বর্তমানে তাদের উপর ২৮% জিএসটি ধার্য করা হয়। তবে, সংশোধনের ফলে তা ১৮% হয়ে যাবে।
চার চাকার গাড়ি১,২০০ সিসির কম ইঞ্জিন ধারণক্ষমতার চার চাকার গাড়ি ও ৫০০ সিসি পর্যন্ত দুই চাকার গাড়ির দামও কমতে পারে। কারণ এই সমস্ত জিনিস বর্তমানে ২৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়।
নতুন জিএসটি ধার্যজিএসটি সংস্কারের ফলে ৪০% হারে নতুন একটি স্ল্যাব প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দামি গাড়ি, অ্যালকোহল, গ্যাম্বলিং , সফট ড্রিঙ্কস, ফাস্ট ফুড, কফি, চিনি ও তামাকের মতো পণ্যের নাম। এই জিনিসগুলি দামি হতে পারে, কারণ বর্তমানে তাদের উপর ২৮% জিএসটি ধার্য করা হয়েছে।
আপনাদের বলি যে সিন ট্যাক্স হল এক ধরনের বিশেষ কর, যা সরকার সেইসব জিনিসের উপর আরোপ করে-যেগুলি ব্যবহারে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়। এই করের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, চাহিদা কমে যাবে ও ব্যবহার কমে যাবে, যার ফলে মানুষের জীবনে এর প্রভাব কমবে। স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা প্রিমিয়ামকে জিএসটির আওতার বাইরে রাখার জন্য কেন্দ্রের প্রস্তাবও পর্যালোচনা করেছে মন্ত্রিপরিষদ ।