Patanjali Yogpeeth : প্রাচীন পরম্পরার সাক্ষী ভারত। যেখানে শিষ্য়র কাছে গুরুর মাহাত্ম্য অসীম। বর্তমান যুগে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ভুলে গেলেও পতঞ্জলি যোগপীঠ ধরে রেখেছে সেই ঐতিহ্য। ধুমধাম করে গুরু পূর্ণিমা উৎসব রূপ পেয়েছে যোগ প্রতিষ্ঠানে। যেখানে এসে যোগগুরু রামদেব দেন এক সংস্কৃতির বার্তা।
কেন পালন করা হয় গুরু পূর্ণিমাগত ১০ জুলাই দেশজুড়ে গুরু পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে মহাভারত ও সব ১৮টি পুরাণের রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাসের জন্ম এই দিনে। তাই, এই দিনটি গুরুদের উপাসনার জন্য উৎসর্গ করা হয়। একে ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়।
প্রথম গুরু কে ছিলেনভারতীয় ভাবধারায় বেদব্যাসকে প্রথম গুরু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই উপলক্ষে পতঞ্জলি যোগপীঠের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি স্বামী রামদেব এবং সাধারণ সম্পাদক আচার্য বালকৃষ্ণের পরিচালনায় যোগপীঠ-২-এর পতঞ্জলি ওয়েলনেস যোগ ভবনে গুরু পূর্ণিমা উৎসব পালিত হয়েছিল।
এই উপলক্ষ্যে কী বলেন যোগগুরু স্বামী রামদেব ?এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্য়ে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্বামী রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণ। মালা দিয়ে একে অপরকে গুরু পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানান দুজনে। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বামী রামদেব বলেন, গুরু পূর্ণিমা হল সনাতন ধর্ম প্রতিষ্ঠার একটি উৎসব। তিনি আরও বলেন, এটি এমন একটি উৎসব যা ভারতের গৌরবময় গুরু-শিষ্য ঐতিহ্য ও চিরন্তন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে পূর্ণতা দেয়।
রামদেব মন্তব্য করেন যে বেদ এবং গুরু ধর্মের মধ্যেই জাতীয় কর্তব্যের সারমর্ম নিহিত। রামদেব বলেন- বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলছে, তবে এই আধিপত্য সত্য, যোগ, আধ্যাত্মিকতা এবং ন্যায়বিচারের মধ্যে নিহিত হওয়া উচিত।
গুরু পূর্ণিমা নিয়ে কী বার্তা দেন আচার্য বালকৃষ্ণঅনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, গুরু পূর্ণিমা হল এমন একটি উৎসব যা গুরু-শিষ্য ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। তবে, এই ঐতিহ্যের প্রকৃত অর্থ তখনই থাকে, যখন কেউ পূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে তাদের গুরুর পথ অনুসরণ করেন। ভারত তার গুরু-শিষ্য বংশ, যোগ, আয়ুর্বেদ, সনাতন ধর্ম ও বৈদিক জ্ঞানের ঐতিহ্যের মাধ্যমে বিশ্বনেতার মর্যাদা অর্জন করবে।
তীর্থযাত্রীদের জন্য খাবারের আয়োজনবর্তমানে এই মাসে কাঁওয়ার তীর্থযাত্রার জন্য হরিদ্বারে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মহাদেবের ভক্তরা পবিত্র জল সংগ্রহ করতে হরিদ্বারে আসছেন। এই উপলক্ষে, পতঞ্জলি যোগপীঠ একটি অবিচ্ছিন্ন কমিউনিটি কিচেন তৈরি করেছে। যেখানে সব ভক্তদের জন্য খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।