কলকাতা: সপ্তাহে কতক্ষণ কাজ করা যায়? ব্য়ক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে ভারসাম্য কীভাবে রাখা উচিত? এমনই নানা আলোচনা হয় এখন পেশাগত জগতে। এমন আবহেই ভারতীয় আইটি জায়ান্ট ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির একটি বক্তব্য ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে নেটদুনিয়ায়। দেশের উন্নতির জন্য এখন যুবসমাজকে সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন নারায়ণমূর্তি। তারপরেই ক্ষোভের ঝড় আছড়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। এমন সময়েই অন্যরকম কথা বললেন RPG Enterprise-এর চেয়ারম্যান শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা (Harsh Goenka)।


X হ্যান্ডেলে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন তিনি। সেখানে তিনি যা লিখেছেন, তার সার সংক্ষেপ।


৫ দিনের অফিসের ভাবনা এখন আর নেই। অফিসে দেওয়া মোট সময়ের অন্তত ৩৩ শতাংশ  Remotely অর্থাৎ অফিসের বাইরে থেকে কাজ করেন চাকুরিজীবীরা। এটাকেই গেম-চেঞ্জার বলেছেন তিনি। বেতন বৃদ্ধির বিষয়ের সঙ্গেও ফ্লেক্সিবল (Flexible work culture)-এর তুলনা করেছেন তিনি। নিজের সময়মতো, নিজের সুবিধামতো জায়গা থেকে অফিসের কাজ করার সুযোগ থাকলে তা ৮ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি সমতুল বলে লোকজন মনে করে, এমনটাই লিখেছেন শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা। অফিসের যাতায়াতের জন্যও প্রতিদিন প্রচুর সময় এবং টাকা খরচ হয়, এনার্জিও খরচ হয়। এটা এড়ানোকেই গুরুত্ব দিয়েছেন শিল্পপতি।


হাইব্রিড ওয়ার্কের (Hybrid Work) সপক্ষে কলম ধরেছেন তিনি। তাঁর মতে এটাই ভবিষ্যৎ। কোনও চাকরিজীবী নিজের সুবিধামতো অফিস থেকে কাজ এবং অফিসের বাইরে থেকে কাজ করবেন। তিনি লিখেছেন, '৫০ বা ৭০ ঘণ্টা কাজের বিষয় নয়, এখন কাজ মানে নিজের লক্ষ্য, নিজের প্রয়োজন এবং নিজের উৎপাদনশীলতার বিষয়।'


কাজের পরিবেশ এবং কাজের ধরনের এমন পরিবর্তনকে মেনে নেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি। অফিস আর বাড়ির মধ্যে নিজের সুবিধামতো জায়গা বেছে নেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন হর্ষ গোয়েঙ্কা। সঙ্গে তাঁর মতে, যাঁরা আধুনিক পদ্ধতি মানিয়ে চলতে পারেন না, তাঁরা ডাইনোসর হয়ে যেতে পারেন।


 






নারায়ণ মূর্তির মন্তব্যের পর যেমন বিতর্ক হয়েছে, তেমনই কেউ কেউ তাঁর পক্ষেও সুপর তুলেছেন। Edelweiss Mutual Fund-এর এমডি এবং সিইও রাধিকা গুপ্তা যেমন বলেছেন, এখন অনেক মহিলাই সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টার বেশি শ্রমদান করেন। দেশ শুধু নয়, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি করতেও পরিশ্রম করেন তাঁরা। ভারত-পে -এর সহ প্রতিষ্ঠাতা আশনীর গ্রোভারও X হ্যান্ডেনে বলেছেন যে, 'এখনও কাজ বলতে ঘণ্টা বোঝানো হয়, ফল বোঝানো হয় না। তাই হয়তো জনতা এমন ভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে।'


এই আবহেই নারায়ণ মূর্তির পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর স্ত্রী সুধা মূর্তি বলেছেন, 'তিনিও সপ্তাহে ৮০-৯০ ঘণ্টা কাজ করতেন।'


আরও পড়ুন: তিন বছরে ১৮০০ শতাংশ রিটার্ন,এটি একটি মাল্টিব্যাগার সোলার এনার্জি স্টক