জীবন বিমার প্রিমিয়াম কীভাবে ক্যালকুলেট করা হয় এবং সম্পর্কিত অনুধাবক ও সম্মতিজ্ঞাপক পদ্ধতি (আন্ডাররাইটিং) কোনও ব্যক্তিকে দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে থাকে। এখন প্রিমিয়াম গণনা পদ্ধতিটি বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক। দেখা যাক কীভাবে সে সংক্রান্ত সম্মতিজ্ঞাপক পদ্ধতিটি অতিরিক্ত সুবিধাসহ ঝঞ্ঝাটহীন বিমার সুবিধা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। 


প্রিমিয়াম গণনা পদ্ধতির খুঁটিনাটি


জীবন বিমার প্রিমিয়ামগুলি বেশ কয়েকটি গুরুত্ববহ বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন


বয়স : আপনি কোন বয়সে বিমাটি নিচ্ছেন, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অল্প বয়সে বিমা নিলে প্রিমিয়াম মূল্য কম হবে কারণ ধরে নেওয়া হয় তাদের জীবনের স্থায়িত্ব বয়স্কদের তুলনায় বেশি হবে। 


স্বাস্থ্য : একজন বিমাগ্রাহক হিসেবে আপনার বর্তমান স্বাস্থ্য, অতীতের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়, এটা বুঝতে যে আপনি কতটা আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। যিনি যত বেশি স্বাস্থ্যবান, তাঁর প্রিমিয়াম পরিমাণ হবে ততটাই কম।   


বিমার মেয়াদ : বিমার মেয়াদকালের উপরও আপনার প্রিমিয়ামের ধার-ভার নির্ভর করে। দীর্ঘ-মেয়াদি বিমার ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম বেশি হবে স্বল্প-মেয়াদি বিমার থেকে।


বিমার জন্য প্রদেয় রাশি : বিমা ক্রয়ে প্রদেয় রাশি বা নিশ্চিত রাশি আপনার প্রিমিয়ামকে প্রভাবিত করবে। কভারেজ মূল্য যত বেশি হবে, প্রিমিয়ামও তত বেশি হবে। 


লাইফস্টাইল অভ্যাস : ধূমপান করা বা ঝুঁকিসাপেক্ষ কার্যকলাপের মতো অভ্যাস আপনার প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ এগুলির সঙ্গে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি জড়িয়ে থাকে। 


HDFC লাইফে আন্ডাররাইটিং পদ্ধতি


গ্রাহকদের যেন কোনওরূপ সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে HDFC Life-এর আন্ডাররাইটিং পদ্ধতিটি সুন্দরভাবে সুবিন্যস্ত। অনুধাবক ও সম্মতিজ্ঞাপক পদ্ধতিটির  (আন্ডাররাইটিং) সাহায্যে আবেদনকারীর ঝুঁকির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে বিমাপ্রদানকারী সংস্থা। HDFC লাইফ সুগমভাবে আন্ডাররাইটিং পদ্ধতিটি সুনিশ্চিত করে। 


অনলাইন আবেদন : HDFC লাইফ বিমার জন্য অনলাইনে আবেদনের সুবিধাপ্রদান করে। শাখাগুলিতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে নথিপত্র জমা করার প্রয়োজন এতে কমে যায়। 


দ্রুত এবং দক্ষ যাচাইকরণ : HDFC Life-র আন্ডাররাইটিং অ্যালগরিদম এবং ডেটা বিশ্লেষণ অত্যাধুনিক। এতে আপনার আবেদনপত্রের যাচাই অতি দ্রুত হয়ে যায়। ফলে অনুমোদনেও সময় কম লাগে। 


শারীরিক পরীক্ষা : প্রয়োজন হলে, আপনার দুয়ারে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারে HDFC Life। এতে কোনও ক্লিনিক বা হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমে।


ব্যক্তি-নির্ভর কোট :  HDFC Life-এর আন্ডাররাইটিং পদ্ধতিতে আপনার একান্ত ঝুঁকির সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে আপনার জন্য নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম কোটের ব্যবস্থা করে। যা আপনার স্বতন্ত্র প্রয়োজনীয়তা মোতাবেক ন্যস্ত। 


HDFC লাইফ সঞ্চয় প্লাসের সুবিধা


এখন যেটা বুঝতে পারলাম, HDFC লাইফে প্রিমিয়াম কীভাবে ক্যালকুলেট করা হয়, আন্ডাররাইটিং পদ্ধতি কীভাবেই বা কাজ করে। এবার জনপ্রিয় বিমা প্রোডাক্ট HDFC লাইফ সঞ্চয় প্লাসের সুবিধা খতিয়ে দেখা যাক।



  • নিশ্চিত অতিরিক্ত ফেরত বা গ্যরান্টিড রিটার্ন 


HDFC Life-এর সঞ্চয় প্লাস বিমার মেয়াদ ফুরোলে গ্যারান্টিড রিটার্ন দিয়ে থাকে। এতে আর্থিক নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হয় আর মনে শান্তিও মেলে। 



  • নমনীয়তা: HDFC Life-এর সঞ্চয় প্লাস প্রদেয় প্রিমিয়াম এবং বিমার মেয়াদের ক্ষেত্রে আপনাকে পছন্দমতো বাছাইয়ের সুবিধা প্রদান করে। আপনার আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আপনার প্ল্যানকে সাজানোর ব্যবস্থায় অনুমোদন রয়েছে সঞ্চয় প্লাসের। 

  • করের সুবিধা : আয়কর আইনের ৮০ সি ও ১০ (১০ ডি) ধারা অনুযায়ী  HDFC Life-এর সঞ্চয় প্লাসের জন্য প্রিমিয়াম করের আওতায় পড়ে এটিকে করযোগ্য বিনিয়োগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

  • লাইফ কভারেজ : নিশ্চিত অতিরিক্ত ফেরত ছাড়াও বিমাটি লাইফ কভারেজও দিয়ে থাকে। যাতে বিমাকারীর অপ্রত্যাশিত মৃ্ত্যু ঘটলে প্রিয়জনেরা আর্থিক সুরক্ষা পান। 


সবশেষে বলি, জীবন বিমা বাছাইয়ের সময় প্রিমিয়াম ক্যালকুলেশন এবং আন্ডাররাইটিং বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আন্ডাররাইটিং পদ্ধতিটিকে HDFC Life-এর সঞ্চয় প্লাস যে শুধুমাত্র সরল করেছে তাই নয়, করের সুবিধা, নিশ্চিত অতিরিক্ত ফেরত সহ দিচ্ছে অজস্র সুযোগও। এই বিমা বিকল্পটির মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবারের আর্থিক ভবিষ্য়ৎ সুুরক্ষিত করতে পারবেন, একইসঙ্গে পাবেন ঝঞ্ঝাটবিহীন বিমার অভিজ্ঞতাও।


(ডিসক্লেইমার: এই নিবন্ধটি একটি পেড ফিচার। ABP অথবা ABP LIVE এখানে প্রকাশিত মতামতকে সমর্থন/সাবস্ক্রাইব করে না। উল্লিখিত অনুচ্ছেদে বর্ণিত সব কিছুর জন্য অথবা উল্লিখিত নিবন্ধে বর্ণিত/নির্দিষ্ট ভাবনা, মতামত, ঘোষণা, ডিক্লেয়ারেশন, যাচাইকরণ ইত্যাদির জন্য আমরা কোনওভাবেই দায়ী থাকব না। সেই অনুসারে পাঠকদের কোনও বিষয়ে বিবেচনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।)