নয়াদিল্লি : আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিল। সেইমতো আদানি গ্রুপ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের ১৮ মাস পর ফের বড়সড় দাবি করে শোরগোল ফেলে দিল আমেরিকার শেয়ার বিশ্লেষক সংস্থা Hindenburg Research। শনিবার তারা দাবি করল, আদানিদের বিরুদ্ধে যে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ ছিল, সেই অফশোর সংস্থায় স্টেক ছিল সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ব্যুরো অফ ইন্ডিয়া বা Sebi-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের। দু'টি অফশোর ফান্ডে তাঁদের স্টেক ছিল বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।


হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এবং এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের ৪০টির বেশি অনুসন্ধানমূলক রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও, আদানিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি Sebi। 


শনিবার প্রকাশিত রিপোর্টে হিন্ডেনবার্গের তরফে বলা হয়, আদানি গ্রুপের ওপর আমাদের মূল রিপোর্ট প্রকাশের পর প্রায় ১৮ মাস কেটে গেছে। ভারতীয় এই সংস্থা কর্পোরেট ইতিহাসে সবথেকে বড় প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে বলে প্রমাণ পেশ করা হয়েছিল। প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এবং আমাদের মূল কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল সংবাদমাধ্যমের ৪০টির বেশি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন, তারপরেও জনসমক্ষে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সেবি। উপরন্তু, চলতি বছরেই ২৭ জুন আমাদের 'শো কজ' নোটিস পাঠায় সেবি। তাতে অবশ্য আমাদের ১০৬ পাতার বিশ্লেষণ নিয়ে কোনও বাস্তবিক ত্রুটির অভিযোগ তোলা হয়নি। যুক্তি দেওয়া হয় যে আমাদের আরও শক্তিশালী তথ্য প্রকাশ করা উচিত ছিল। 


হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে আরও দাবি করে, আমরা লক্ষ্য করেছি গুরুতর নিয়ন্ত্রণ মধ্যস্থতার ঝুঁকির কথা না ভেবেই ব্যবসা চালানোর ব্যাপারে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী থেকেছেন আদানি। আর এতেই আদানির সঙ্গে সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী বুচের সম্পর্ক স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যেটা আমরা আগে বুঝিনি। বর্তমান সেবির চেয়ারপার্সন এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচের অফশোর বার্মুডা ও মরিশাস ফান্ডে গোপন স্টেক ছিল। বিনোদ আদানির ব্যবহার করা পরিকাঠামোয় সেই তথ্য পাওয়া গেছে।


২০২৩ সালে ২৪ জানুয়ারি আদানিদের নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তাতে শেয়ার দরে কারচুপি থেকে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ তোলা হয়। যার প্রভাব পড়ে আদানি গোষ্ঠীর ব্যবসায়। পাল্টা তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের কথা বলে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হয় সংস্থা। এনিয়ে তদন্তে নামে সেবি। এরপর এদিন হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করা হয়, শীঘ্রই ফের বড় ধরনের দুর্নীতির পর্দাফাঁস করতে চলেছে তারা। সমাজমাধ্য়মে শুধু লেখা হয়, ‘শীঘ্রই বড় কিছু আসছে ভারত’। তাদের এই ঘোষণায় শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র। এবার সেই 'বোমা ফাটাল' আমেরিকার এই সংস্থা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।