Farming in India: ভারতে কৃষকদের জীবনধারণের এবং জীবিকা নির্বাহের অন্যতম মাধ্যম বা পথ হল কৃষিকাজ। যদিও অত্যধিক মাত্রায় রাসায়নিক সারের ব্যবহার এবং কীটনাশকের ব্যবহার ক্রমেই মাটির উর্বরতা নষ্ট করে দেয়। এই সমস্যা সমাধানের (Organic Farming) জন্য পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ এক বড় পদক্ষেপ করেছে। এই সংস্থা দেশে প্রচার (Farming in India) করছে জৈবিক কৃষির। পতঞ্জলির লক্ষ্য হল মাটিকে ফের উর্বর করে তোলা এবং কৃষকদের আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করে তোলা।
পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ জানিয়েছে, 'পতঞ্জলির কিষাণ সমৃদ্ধি প্রোগ্রাম কৃষকদের হাতে ধরে জৈবিক কৃষিকাজ শেখায়। এর মধ্যে রয়েছে পতঞ্জলির জৈবিক সার, ও জৈবিক PROM-এর মত উপাদান ব্যবহার। এই সারগুলি তৈরি হয় সমস্ত ওষধি গাছ থেকে, গোবর থেকে এবং ট্রাইকোডার্মার মত উপকারি মাইক্রোঅর্গানিজম থেকে। এর মাধ্যমে মাটির স্বাস্থ্য আবার ভাল হয়ে ওঠে, এতে জলশোষণ ও জল ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। মাটিতে পুষ্টি উপাদানও বেশি হয়। এর মাধ্যমে মাটির শক্তিও বাড়ে এবং এতে ভাল মানের ফসল ফলে।'
পরিবেশে ভারসাম্য বজায় রাখে জৈবিক কৃষি
সংস্থার মতে 'রাসায়নিক কৃষিকাজের সঙ্গে তুলনায় পতঞ্জলির জৈবিক কৃষি জল ধারণ করতে পারে বেশিমাত্রায় এবং পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। এর পণ্যগুলি যেমন হিউমিক অ্যাসিড, সার ইত্যাদি যা তৈরি হয়েছে সামুদ্রিক শৈবাল থেকে তা মাটিতে পুষ্টি উপাদান বজায় রাখতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমেই যে কোনও রোগ-ব্যাধি থেকে নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতা জন্মায় ফসলের। ফলনও বাড়ে ব্যাপকহারে আর এতে কৃষকের আয়ও বাড়ে। এই পদ্ধতি শুধু যে পরিবেশের জন্য উপকারি তাই নয়, এর মাধ্যমে প্রাচীন ভারতের কৃষিকাজের পদ্ধতিকে আবার পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে।
সামাজিক রূপান্তরের মাধ্যম পতঞ্জলির জৈবিক কৃষি
এই সংস্থা জানিয়েছে, 'পতঞ্জলি বায়ো রিসার্চ ইনস্টিটিউট (PBRI) ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর এগ্রিকালচারাল রিসার্চের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে যাতে উন্নতমানের বীজ ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা যায়। এর মাধ্যমে কৃষকরা অনেক ভাল মানের বীজ পান, দীর্ঘমেয়াদি কৃষির পদ্ধতি জানতে পারেন আর সর্বোপরি নিজেদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারেন। পতঞ্জলির জৈবিক কৃষির প্রচার শুধু একটিমাত্র কোনও ব্যবসা নয়, এটি একটি সামাজিক রূপান্তরের মাধ্যমও। এর মাধ্যমে মাটিকে স্বাস্থ্যকর গড়ে তোলা, পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ফসল উৎপাদন, আত্মনির্ভর কৃষকদের সমৃদ্ধ করা সম্ভব। গ্রামে গ্রামে আর্থিক সচ্ছলতার জোয়ার আনছে এই উদ্যোগ। পরিবেশ সংরক্ষণকে মান্যতা দিচ্ছে এই উদ্যোগ, আর একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলছে এই জৈবিক কৃষি।