IMF EY Report : ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন 'ডেড ইকোনমি' (Dead Economy), সেই ভারতের অর্থনীতি নিয়ে এবার বড় আর্থিক পূর্বাভাস দিল EY। আসলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এই রিপোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে, ২০৩৮-এর মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত। জেনে নিন, কেন এই কথা বলছে IMF-এর EY রিপোর্ট।
ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী IMFবিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা ও মার্কিন শুল্কের কারণে সৃষ্ট অস্থিরতার মধ্যে ভারতের জন্য একটি 'সুসংবাদ' রয়েছে। EY-এর রিপোর্ট বলছে , ক্রয়ক্ষমতার সমতা (PPP) বিবেচনায় ভারত ২০৩৮ সালের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের আনুমানিক মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) ৩৪.২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে। আপনাকে জানিয়ে রাখি- EY-এর রিপোর্ট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) অনুমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তিরিপোর্টে আরও প্রকাশ করা হয়েছে, ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি হল এর জনসংখ্যা। ২০২৫ সালে ভারতের গড় বয়স মাত্র ২৮.৮ বছর। সঞ্চয় হারের দিক থেকেও ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সরকারের ঋণ-জিডিপি অনুপাত ২০২৪ সালে ৮১.৩ শতাংশ থেকে কমে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭৫.৮ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে তার সমকক্ষ দেশগুলিতে ঋণের মাত্রা বাড়ছে।
এই অনুপাত দেখায় যে একটি দেশের বার্ষিক উৎপাদন ও এই ঋণ পরিশোধের ক্ষমতার তুলনায় তার ঋণের পরিমাণ কত। এটি একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দর্শায়। আইএমএফের একটি প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি ২০.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে।
চিন, আমেরিকা, জাপানের পরিস্থিতি কী ?রিপোর্ট বলছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত পিপিপি মোডে ৪২.২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি নিয়ে চিন এগিয়ে থাকবে। তবে, চিন দুটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। প্রথম তার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ছাড়াও ঋণের চাপ।
কেন ভারতে এগিয়েআমেরিকা এই ক্ষেত্রে শক্তিশালী রয়েছে, তবে এটি তার জিডিপির তুলনায় ১২০ শতাংশ বেশি ঋণ এবং ধীর প্রবৃদ্ধির হারের মুখোমুখি। জার্মানি এবং জাপানের পরিস্থিতি ভালো হতে পারে, তবে এখানে মধ্যবয়সী মানুষের সংখ্যা বেশি এবং বিশ্ব বাণিজ্যের উপর তাদের নির্ভরতা অনেক বেশি। তুলনায় ভারতে যুবসমাজের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও জিডিপি-ঋণের মধ্যে ভারসাম্য রয়েছে, যা এর দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এই শুল্কের প্রভাব কতটা পড়বে ?ভারতের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২৫ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক এবং রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার জন্য ২৫ শতাংশ জরিমানা। এই বিষয়ে, ইওয়াই জানিয়েছে, মার্কিন শুল্ক ভারতের জিডিপিতে প্রায় ০.৯ শতাংশ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা, বাণিজ্য অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি ও রপ্তানির আরও অনেক উপায় খুঁজে পাওয়ার কারণে, জিডিপির উপর এর প্রভাব মাত্র ০.১-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে।