India Mobile Congress 2021: ভারতের আধুনিক উন্নয়ন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে টেলি-যোগাযোগ ক্ষেত্র।গত কয়েক বছর ধরে এই ক্ষেত্রে বৃদ্ধির মাত্রা বেড়েই চলেছে।ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস (India Mobile Congress 2021)আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।


এদিন তিনি বলেন, ''ভারতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও উন্নতির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এই টেলি-যোগাযোগ ক্ষেত্র কোভিডের সময়েও নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। আগামী দিনেও এই ধারা বজায় থাকবে।'' বর্তমানে India Mobile Congress 2021 দেশের সবথেকে বড় প্রযুক্তির অনুষ্ঠান। যা আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।


মোবাইল কংগ্রেসের ইভেন্টে শিল্পপতিদের মেলা
এদিন ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস (India Mobile Congress 2021)-এর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি, আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা ও ভারতী এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান সুনীল ভারতী মিত্তাল। অনুষ্ঠানে টেলি-যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত নতুন প্রযুক্তি ও যন্ত্র নিয়ে বক্তব্য রাখেন তাঁরা।


বক্তব্য রাখেন Reliance Jio-র চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানি
ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে এদিন বক্তব্য রাখেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও রিলায়েন্স জিওর মালিক মুকেশ অম্বানি।তিনি বলেন, ''টেলি-যোগাযোগ শিল্প কোভিডের সময়েও জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও এর কাজ ব্যাহত হয়নি। করোনার সময় লকডাউনেও মধ্যেও 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছিল, কারণ ভারত টেলি যোগাযোগ ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবার ক্ষেত্রে এক শীর্ষস্থানীয় প্লেয়ার হয়ে উঠেছে। কোটি কোটি নাগরিক বাড়ি থেকে কাজ করায়, তাদের বাড়ির বাইরে যেতে হয়নি। যে কারণে এই সেক্টরও কোভিড রোধে অবদান রেখেছে। কোভিডের সময়ে, যখন সবকিছু বন্ধ ছিল, ইন্টারনেট ও মোবাইল আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে।যার জন্য প্রযুক্তি আমাদের জীবন ও কর্মসংস্থানের সহায়ক হয়ে উঠেছে।''


তবে এ সবের পাশে এদিন দ্রুত 5G টেকনোলজি আনার কথা বলেন রিলায়েন্সের চেয়ারম্যান। এই বিরাট ইভেন্টে তিনি বলেন, ''এখন দেশে ৫জি প্রযুক্তি আনাটাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকারের বিষয়।আমরা একটি একশো শতাংশ দেশীয় ও ব্যাপকতর 5G প্রযুক্তির সমাধান তৈরি করেছি। যা সম্পূর্ণরূপে ডিজিটালি নিয়ন্ত্রিত ও যার ভিত্তি ভারতীয়। আমাদের প্রযুক্তির কারণে জিও ৪জি নেটওয়ার্ক খুব তাড়াতাড়ি ৫জি নেটওয়ার্কে রূপান্তরিত করা যাবে।''


এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি রিলায়েন্সের চেয়ারম্যান। মুকেশ অম্বানি বলেন, ''দেশে মোবাইল ব্যবহারকারী সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ক্রয়ক্ষমতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর জন্য ফাইবার সংযোগ বৃদ্ধির কাজ আরও বাড়াতে হবে। ভারতের উচিত 2G থেকে 4G ও তারপর 5G-তে স্থানান্তের কাজ দ্রুত শেষ করা। সরকারি ইউনিভার্সাল সার্ভিস 'অবলিগেশন ফান্ড' ব্যবহার করে দেশে মোবাইল ভর্তুকি দিতে হবে। দেশের প্রান্তিক জনগণকে যদি দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তির অংশীদার হতে হয়, তাহলে তাদের সাশ্রয়ী মূল্যে পরিষেবা ও ডিভাইস সরবরাহ করতে হবে।'' 


মুকেশ অম্বানি ছাড়াও এদিনের মোবাইল কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা। এদিন তিনি বলেন, '' দেশকে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি গড়ে তুলতে নিজের অবদান রাখবে মোবাইল শিল্প। সেখানে ডিজিটাল ইকোনমি থেকেই ১ ট্রিলিয়ন ডলার আসবে।'' এই একই অনুষ্ঠানে ভারতী এয়ারটেলের চেয়ারম্যান সুনীল মিত্তাল বলেন, ''এই সেক্টরে নতুন মামলা এড়াতে নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা আরও সহজ হওয়া দরকার। পাশাপাশি স্পেকট্রামের মূল্য ও শুক্ল হ্রাসের বিষয়টাও দেখা উচিত।''


এই মেগা মোবাইল ইভেন্টে টেলিকম সেক্টরের বহু মামলার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। মিত্তাল বলেন, ''এই নতুন কেস এড়াতে হবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করছি, এই ক্ষেত্রে আমাদের শিল্পের উত্তাপ কমাতে হবে। এখনও অনেক মামলা  বাকি আছে। এই মামলাগুলির  নিষ্পত্তি  প্রয়োজন।''