কলকাতা: ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর ভারতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক বদল হতে পারে এমনটা ভাবা হয়েছিল। তবে মার্কিন শুল্কের চাপ উপেক্ষা করে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতের অর্থনীতিতে নতুন করে জোয়ার। চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপির বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সরকারের রাজস্ব নীতি এবং ব্যয়ের বিচক্ষণতা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে।                           

Continues below advertisement

এই উত্থান বেশিরভাগ পূর্বাভাসকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এক বছর আগের ৫.৬ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি। প্রথম প্রান্তিকে প্রকাশিত ৭.৮ শতাংশের চেয়েও বেশি।  ব্লুমবার্গ অনুমান করেছিল ৭.৪ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটতে পারে জুলাই-সেপ্টেম্বরে। এবারের বৃদ্ধির বিশেষত্ব হল- গত ৬টি ত্রৈমাসিকে এবারেই সবথেকে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে জিডিপি। এর আগে জিএসটি জমানার পরিবর্তনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, এর ফলে সাধারণ মানুষের হাতে ২ লক্ষ কোটি টাকা আসবে।       

জিডিপি বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স-এ পোস্ট করে বলেন, '২০২৫-২৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৮.২% জিডিপি ' বৃদ্ধি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। এটি আমাদের প্রবৃদ্ধি-বান্ধব নীতি এবং সংস্কারের প্রভাব প্রতিফলিত করে। এটি আমাদের জনগণের কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্যোগকেও প্রতিফলিত করে। আমাদের সরকার সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং প্রতিটি নাগরিকের জন্য জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তুলবে।'                 

Continues below advertisement

ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স অফিস (এনএসও) প্রকাশিত পরিসংখ্যানগুলি উৎপাদন, নির্মাণ এবং একটি শক্তিশালী পরিষেবা খাতের নেতৃত্বে শক্তিশালী গতির দিকে ইঙ্গিত করে। উৎপাদন শিল্পে দ্রুত বৃদ্ধির ফলে এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জিডিপি বৃদ্ধির একটি বড় অংশ এসেছে মাধ্যমিক এবং তৃতীয় স্তরের খাত থেকে। উৎপাদন খাত ৯.১ শতাংশ, নির্মাণ খাত ৭.২ শতাংশ এবং বৃহত্তর মাধ্যমিক খাত ৮.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর্থিক, রিয়েল এস্টেট এবং পেশাদার পরিষেবা ক্ষেত্রে ১০.২ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে তৃতীয় খাত ৯.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, পিছিয়ে রয়েছে কৃষি। কৃষি খাত মাত্র ৩.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জিডিপি বৃদ্ধির হার, আগের আর্থিক বছরের প্রথমার্ধে ছিল ৬.১ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রকৃত গ্রস ভ্যালি অ্যাডেট বা GVA বৃদ্ধি ৮.১ শতাংশে পৌঁছেছে।  

অন্যদিকে, ভারতের জিডিপি, জিভিএ-সহ জাতীয় পরিসংখ্যানের মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার। সংস্থার বার্ষিক মূল্যায়নে ভারতের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস ডেটাকে ‘C’ গ্রেড দেওয়া হয়েছে (Imf gives c grade to india)। আইএমএফের এসব ব্যাপারে যে গ্রেডেশন পদ্ধতি রয়েছে, তাতে এই গ্রেড হল চারটি গ্রেডের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।