LIC IPO Coming Soon: শীঘ্রই দেশের বৃহত্তম আইপিও (IPO) আনতে চলেছে সরকার।Life Insurance Corporation (LIC)-র এই IPO নিয়ে বেড়েই চলেছে আগ্রহ। এই বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই জেনে নিন এই বিষয়গুলি।


LIC IPO Update: দেশে বিমা কোম্পানি হিসাবে সুনাম রয়েছে এই সংস্থার।ঘরে-ঘরে পরিচিত নাম LIC। সারা দেশজুড়ে রয়েছে এই সংস্থার নেটওয়ার্ক। মুম্বইয়ে সদর দফতর রয়েছে কোম্পানির। পাশাপাশি সারা দেশে রয়েছে ২০০০-এর বেশি শাখা। এক লক্ষের বেশি কর্মী কাজ করেন LIC-তে। সব মিলিয়ে রয়েছে ২৮৬ মিলিয়ন পলিসি।




ইতিমধ্যেই LIC-র শক্তি ,দুর্বলতা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে IIFL Securities। Life Insurance Corporation (LIC)-তে বিনিয়োগ করার আগে জেনে নিন কী বলছে এই সংস্থার বিশ্লেষণ।


LIC IPO: কী বিক্রি করে কোম্পানি
সঞ্চয় বা সেভিংস প্রোডাক্টের পাশাপাশি জীবন বিমা mortality (death) ও স্বাস্থ্য বিমা morbidity risks (illness) রয়েছে দেশের বৃহত্তম বিমা কোম্পানির কাছে। দেশবাসীর চাহিদা অনুযায়ী term assurance, annuities, endowments, pension plans and unit-linked saving plans (ULIPs) পলিসি বিক্রি করে কোম্পানি।


LIC IPO: বৃদ্ধির সম্ভাবনা কতটা ?
LIC-কে সাহায্য করার জন্য বহু কোম্পানি জুড়ে রয়েছে। এর দুটি সহায়ক সংস্থা ও চারটি সহযোগী কোম্পানি রয়েছে। যারা এর পেনশন তহবিল, হাউজিং ফাইন্যান্স, মিউচুয়াল ফান্ড, ব্যাঙ্কিং ও কার্ডের ব্যবসা দেখাশোনা করে। দেশে এজেন্টের সংখ্যায় সবথেকে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে এলআইসি। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে এর ১৩.৫ লক্ষের বেশি এজেন্ট ছিল কোম্পানির।


LIC IPO: সামনে কী সুযোগ রয়েছে
IIFL Securities-এর রিপোর্ট বলছে, গ্রাহকদের চাহিদা অনুসারে আরও অনেক প্রোডাক্ট বা পলিসি আনার ক্ষমাতা রাখে LIC । সামাজের যেসব জায়গায় কোম্পানি এখনও পৌঁছেতে পারেনি সেখানে চাহিদা অনুযায়ী আরও পলিসি লঞ্চ করতে পারে দেশের বৃহত্তম বিমা কোম্পানি। নতুন প্রজন্মের গ্রাহকদের ধরতে কোম্পানিকে অবশ্যই বিজ্ঞাপন ও প্রচারের দিকে জোর দিতে হবে।


রিপোর্ট বলছে, LIC-র উচ্চ আয় সম্পূর্ণ কোম্পানি। এই বিশাল পরিমাণ অর্থ চাইলে নতুন-যুগের কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করতে পারে সংস্থা। যেখান থেকে LIC আরও ভাল প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো ছাড়াও উচ্চ রিটার্ন পেতে পারে। যাতে লাভ হবে সংস্থার।




LIC IPO: প্রতিযোগিতামূলক বিমা কোম্পানির ভিড়
বিমা বর্তমানে একটি প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র। এলআইসি এখানে বাজারের নেতৃত্ব দেওয়া সত্ত্বেও ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে বহু বেসরকারি কোম্পানি।  ভাল পরিষেবার ক্ষেত্রে এলআইসির সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা। IIFL Securities-এর রিপোর্ট বলছে, এখনও পুরোনো  ব্যবসার পদ্ধতিতেই আটকে রয়েছে কোম্পানি। সেই কারণে বহু ক্ষেত্রে গ্রাহক পরিষেবার অভাব রয়েছে কোম্পানিতে।


LIC দেশের বৃহত্তম নিয়োগকর্তাদের মধ্যে একটি। যারা দেশে কর্মসংস্থান তৈরির একটি আদর্শ জায়গা হতে পারে। যদিও এই বিশাল সংখ্যক কর্মীদের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে জুড়তে সেভাবে বিনিয়োগ করে না সংস্থা। এই উন্নতি হলে আদতে কোম্পানির কর্মীদেরই দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।  এছাড়াও এই সংস্থার ব্যবসায় প্রায়শই সরকার হস্তক্ষেপ করে। যাতে কোম্পানির সর্বোচ্চ বৃদ্ধি ও আয় ধাক্কা খেতে পারে। এরফলে কোম্পানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সম্পদের ব্যবহার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হতে পারে। প্রাইভেট প্লেয়ারদের তুলনায়, LIC-র বিজ্ঞাপন খাতে কম খরচ 
করে। যেখানে বাকি প্রতিযোগী কোম্পানিরা এগিয়ে যায়।


LIC IPO: কী নিয়ে আসল চিন্তা
রিপোর্টে বলা হয়েছে, LIC-কে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে হবে। এটি কোম্পানির বৃদ্ধির উপর সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। অতীতে সরকারের এই নীতির কারণে কোম্পানি অনেক লোকসানে থাকা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে।


অনেক ক্ষেত্রেই কোম্পানির এলআইসি এজেন্টদের উপর সম্পূর্ণ দখল নেই। ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য অনেক সময় এজেন্টরা গ্রাহকদেরকে ভুল বুঝিয়ে পলিসি করায়। যার ফলে গ্রাহকের বিশ্বাস হারায় LIC। 


পুরোনো ঐতিহ্যগত পদ্ধতি অনুসরণ করায় অনেক সময় শহুরে জনসংখ্যার মধ্যে ছাপ ফেলতে পারেনি কোম্পানি। কেবল প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকার কারণেই এই গ্রাহক হাতছাড়া করতে হয় কোম্পানিকে।