পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থা সম্প্রতি আয়ুর্বেদের বৈশ্বিক বিস্তারের জন্য  এক অভূতপূর্ব কাজ করেছে, এই সংস্থা তাদের উন্নত টেলিমেডিসিন সেন্টার উদ্বোধন করেছে সম্প্রতি। বলা হচ্ছে এটিই নাকি বিশ্বের সবথেকে বড় এবং বৈধ বিশ্বাসযোগ্য আয়ুর্বেদিক টেলিমেডিসিন প্ল্যাটফর্ম। এই সেন্টারটি যোগগুরু বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণ উদ্বোধন করেন বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ এবং চিরাচরিত যজ্ঞানুষ্ঠানের মাধ্যমে।

টেলিমেডিসিন সেন্টার মানবসেবার লক্ষ্যে এক মহান পদক্ষেপ, বলেন বাবা রামদেব

এই অনুষ্ঠানে বাবা রামদেব বলেন, 'হরিদ্বার থেকে প্রতিটি ঘরে ঘরে এই টেলিমেডিসিন সেন্টারটি ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যের জ্ঞান পৌঁছে দেওয়ার জন্য ঐশ্বরিক মাধ্যম হয়ে উঠবে। এখন থেকে অনলাইনে ফোনের মাধ্যমেও চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে যা দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের অনেক উপকার করবে। পতঞ্জলির টেলিমেডিসিন সেন্টার মানবজাতির সেবার জন্য এক অসামান্য উদ্যোগ।

আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, 'বিশ্ব এখন যেমন যোগব্যায়ামের জন্য ভারতের দিকে তাকায়, তেমনি তারা আয়ুর্বেদ ও এর পরিষেবার জন্যও ভারতের দিকে আশার আলো দেখবে। এই টেলিমেডিসিন সেন্টার সেই দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।' তিনি আরও উল্লেখ করেন যে পতঞ্জলি টেলিমেডিসিন সেন্টার একটি সম্পূর্ণরূপে বিকশিত ও সুসংগঠিত মডেল।

আয়ুর্বেদিক টেলিমেডিসিন সেন্টারের মূল বৈশিষ্ট্য

বিনামূল্যে অনলাইন আয়ুর্বেদিক পরামর্শ

উচ্চ প্রশিক্ষিত পতঞ্জলি চিকিৎসকদের একটি টিম

প্রাচীন ধর্মগ্রন্থের উপর ভিত্তি করে ব্যক্তিগত ভেষজ উপশম

ডিজিটাল স্বাস্থ্যগত রেকর্ড এবং নিয়মমাফিক ফলো আপ

হোয়াটসঅ্যাপ, ফোন ও ওয়েব-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহজ অ্যাক্সেস

পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের দাবি এই উদ্যোগটি প্রতিটি বাড়িতে খাঁটি ধর্মগ্রন্থ-ভিত্তিক আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্য সমাধান দেওয়ার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এটি বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এবং বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্য উপকারি হবে যারা সরাসরি কেন্দ্রগুলিতে যেতে পারেন না।

ঘরে বসেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলুন

এই কেন্দ্রের একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল মানুষেরা ঘরে বসেই আয়ুর্বেদিক ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারবেন। এই পরিষেবাটি বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য উপকারি হবে যেখানে আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্যসেবার অভাব থাকতে পারে বা রয়েছে।

পতঞ্জলি দাবি করেছে যে 'পতঞ্জলির প্রভাব বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পণ্যগুলি ৩০টিরও বেশি দেশে রফতানি করা হচ্ছে যার ফলে আয়ুর্বেদ ও দেশীয় ব্র্যান্ডের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল এবং অফলাইন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে সংস্থাটি গ্রামীণ ভারতকে ক্ষমতায়িত করেছে যার ফলে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।