LIC Policy Claim Update: ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য ক্লেইমের নিয়ম আরও সহজ করল LIC। রাষ্ট্রায়ত্ত এই কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে এলআইসি পলিসি হোল্ডার থাকলে পরিবারের পলিসি ক্লেইম করতে অসুবিধা হবে না। পরিসংখ্যান বলছে,   শনিবার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ২৯৫ জন। আহতের সংখ্যা ১১০০ ছাড়িয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এই মৃতের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। 


OdishaTrain Accident: কী বলেছে এলআইসি ?
ইতিমধ্য়েই ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এলআইসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মোহান্তি। ক্ষতিগ্রস্তদের আত্মীয়দের জন্য ক্লেইম-এর নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মোহান্তি বলেছেন,  "শুক্রবার ওড়িশার বালাসোরে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। LIC ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দ্রুত ক্লেইমের টাকা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য় করতে চায় কোম্পানি। "


LIC Policy Claim Update: কী সুবিধা দিচ্ছে এসআইসি ?
বিমা কোম্পানি এলআইসির তরফে জানানো হয়েছে, পলিসির দাবিদারদের কষ্ট কমাতে ও প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বিমা যোজনার জন্য অনেক ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে,ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেটের পরিবর্তে রেলওয়ে পুলিশ বা কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত হতাহতের তালিকা মৃত্যুর প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করা হবে।


LIC Policy: কী বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে LIC
ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের দাবি-সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিতে ও দাবিকারীদের সাহায্যের জন্য বিভাগীয় ও ব্রাঞ্চ পর্যায়ে একটি বিশেষ হেল্প ডেস্ক ও একটি কল সেন্টার নম্বর (022-68276827) দিয়েছে LIC। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির কাছে দাবিগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে কোম্পানি। 


শুক্রবার সন্ধেয় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandal Express Derailed) ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই প্রথমে শুরু করেন উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে  কোনও ক্রমে বের করে আনা শুরু হয় আহতদের। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এনডিআরএফের টিম। উদ্ধার কাজে নেমে পড়ে সেনা-আধাসেনা।  ধ্বংসস্তূপে প্রাণের খোঁজ পেতে আনা হয় স্নিফার ডগ। গ্যাসকাটার দিয়ে উল্টে-পাল্টে যাওয়া কামরাগুলো কেটে চলতে থাকে প্রাণের খোঁজ। গতরাতের পর সকাল হতেই মৃতদেহের খোঁজে শুরু হয় হেলিকপ্টারে নজরদারি। ট্রেন বগিগুলি ক্রেন দিয়ে সরিয়ে শুরু হয় রেললাইন পরিষ্কারের কাজ। কিন্তু সময় এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের গতির মতোই বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যা। জমা হতে থাকে সারি সারি লাশ।