GST 2.0 : সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে কার্যকর হচ্ছে নতুন জিএসটি রেট। মহালয়ার দিনেই যা নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নবরাত্রির সকাল থেকেই নতুন জিএসটি রেটকে দেশবাসীর জন্য 'সাশ্রয় উৎসব' বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। যদিও নাম না করে নতুন জিএসটি নিয়ে মোদির ভাষণকেই কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ?এদিন নতুন GST নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ''এই জিএসটির জেরে রাজ্যের ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। GST-তে রাজ্যের ভাগের টাকা কাটছে কেন্দ্র। ভাষণ দেওয়া ছাড়া কেন্দ্রের কোনও কাজ নেই । নতুন GST কার্যকর হওয়ার ফলে রাজ্যের আর্থিক ক্ষতি হবে। ''
নতুন GST কেন্দ্রের নয়, রাজ্যের কৃতিত্ব ?এদিন জিএসটি সংস্কার প্রসঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ''আমরাও চাই মানুষের লাভ হোক। আমরাই বিমা থেকে GST তুলতে বলেছিলাম। আমরা সব করলাম, আর কেন্দ্র কৃতিত্ব নিচ্ছে। নতুন GST কেন্দ্রের নয়, রাজ্যের কৃতিত্ব।''
রবিবার মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার পর এবিপি আনন্দে মুখ খোলেন অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার। তিনি জানান, GST-র মতো পরোক্ষ কর কমলে সাধারণ মানুষের সুবিধা যে হবে, সেকথা বলা বাহুল্য। জিনিসপত্রের দাম কমবে খানিকটা। কিন্তু যদি না একচেটিয়া আধিপত্য থাকে। একচেটিয়া আধিপত্য থাকলে, জিনিসপত্রের দাম নাও কমতে পারে। কারণ উৎপাদনকারীর মনে হবে, এটা না কিনে উপায় নেই। কিনতেই হবে গ্রাহককে। (GST Reduction)
অভিরূপ আরও জানান, GST বা পরোক্ষ কর কমানোর সুবিধা হল, উৎপাদনকারী এবং গ্রাহকের মধ্যে সুবিধা ভাগ হয়ে যায়। দুই পক্ষই সুবিধা পাবেন। বিনিয়োগে ইনসেনটিভ বাড়বে। দরিদ্র-মধ্যবিত্তরা সুবিধা পাবেন, এটা নিয়ে সন্দেহ আছে বলে মনে হয় না।একই সঙ্গে অভিরূপ বলেন, "এর উল্টো দিকটা হল, এর ফলে সরকারের রাজস্বের ক্ষতি হবে। এতে রাজ্যের ক্ষতি বেশি, কেন্দ্রের তুলনায়। কারণ কেন্দ্রের প্রত্যক্ষ কর আদায়ের ক্ষমতা আছে, আয়কর, কর্পোরেট কর ইত্যাদি। রাজ্যগুলির তা নেই ফলে রাজ্যগুলিকে GST-র উপর নির্ভর করতে হয়।"
অভিরূপ জানান, আয় কমলে রাজ্যের কোষাগারে কম টাকা জমা পড়বে, যা অসুবিধেজনক হবে। এখানে কিছু দিনের জন্য কেন্দ্র যদি রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেয়, একরকম ভাবে চালিয়ে নিতে পারবে রাজ্যগুলি। কিন্তু কেন্দ্র কতটা ক্ষতিপূরণ দেয়, কবে দেয়, তা দেখতে হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, অভিরূপ জানান, জিনিসের দাম কমলে আশা করা যায় বেশি জিনিস বিক্রি হবে। কিন্তু একটি গাড়ির পরিবর্তে দু'টি কিনবেন না। ফলে মোট বিক্রি বাড়বে বলেই ধরে নেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে রাজস্ব বাড়তে পারে।