নয়াদিল্লি: ফরচুন ইন্ডিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মহিলাদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পেলেন রিলায়েন্সের গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর নীতা অম্বানি। জেনে নিন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন হিসাবে সংস্থায় তাঁর অবদান।


নীতা অম্বানি: ফরচুন ইন্ডিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মহিলাদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন। এই সম্মান পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নীতা অম্বানি প্রমাণ করে দিলেন, ভারতের বৃহত্তম সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের তিনি সত্যিকারের একজন গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর।


দেশ যখন মহামারীর সংক্রমণে আক্রান্ত তখন থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সমস্যার কথা মাথায় রেখে সেই সময় এগিয়ে এসেছিল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ও নীতা অম্বানি। জামনগরে কোভিড রোগীদের জন্য ১০০০ বেডের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। এখানেই থেমে থাকেননি নীতা। এনএসসিআই, সেভেন হিল হসপিটাল ছাড়াও ট্রাইডেন্ট বিকেসি-র জন্য করেছিলেন ৭৭৫টি বেডের ব্যবস্থা।


সেই সময় নীতা অম্বানি বলেছিলেন, ''কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ভারত একটি অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা ভারত ও ভারতবাসীর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। এই সময়ে সবথেকে কঠিন সমস্যা হল দ্রুত স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করা। সেই কথা মাথায় রেখে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন জামনগরে বিনামূল্যে অক্সিজেন-সহ ১০০০টি বেডের ব্যবস্থা করেছে। 


প্রথম পর্যায়ে ৪০০ বেড এক সপ্তাহের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। পরবর্তী সপ্তাহের মধ্যে আরও ৬০০ বেডের ব্যবস্থা করা যাবে। সঙ্কটের সময় এটি ছিল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের আরও একটি উদ্যোগ।আমরা আশা করি, আমাদের এই প্রচেষ্টা মহামারীর বিরুদ্ধে দেশের লড়াইয়ে অতিরিক্ত শক্তি জোগাবে ও আরও অনেক জীবন বাঁচাবে।"


মহামারীর সময় 'জিওহেলথহাব'-এর মতো ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে ২৫ লক্ষ্য মানুষকে কোভিড টিকাকরণের দায়িত্ব নিয়েছিল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। সেই সময় ফাউন্ডেশন ১০০টি জেলা, ১৯টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে প্রান্তিক গোষ্ঠী তথা দিনমজুর ও কোভিডের সামনের সারির কর্মীদের জন্য ৮.৫ কোটিরও বেশি বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করেছে। পাশাপাশি পশুদের খাদ্য ও পরিচর্যার জন্য ২০টি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়।


উপরোক্ত নীতা আম্বানি ভারতে নারীদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তিনি সমাজে মহিলাদের উত্তরণের জন্য 'হার সার্কেল' নামের একটি বিষয় ভিত্তিক প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন। যেখানে অনুপ্রেরণামূলক নারীদের গল্প বলা হয়। এইসব নারীরা সমাজের সব প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজ নিজে ক্ষেত্রে জয়ী হয়েছেন।   


আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তাঁর বক্তৃতার কিছু অংশ এখানে দেওয়া হল। ''নারীদের উত্থান ও উন্নতির থেকে বেশি কিছু আমাকে আনন্দ দেয় না। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমার আশা, সব অল্পবয়সী মেয়েরা আকাশের নিচে তাদের উপযুক্ত স্থান খুঁজে পাবে। আমাদের ওদেরকে শক্তি জোগাতে হবে। যাতে ওরা প্রকৃতির শক্তি হয়ে ওঠে, যা ওদের জন্মগত অধিকার।আমি আনন্দিত যে, ৬ মাসের অল্প সময়ের মধ্যে, 'হার সার্কেল' সিস্টারহুড ও সংহতির একটা ডিজিটাল আন্দোলন তৈরি করেছে। 'হার সার্কেল' হল মহিলাদের যোগাযোগের, গল্প বলার ও সত্যিকারের গল্প 
শোনার জায়গা! মহিলা ও শিশুরা, বিশেষ করে ছোট মেয়েরা সবসময় রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনে আমাদের সমস্ত কাজের প্রাণকেন্দ্রে থাকে।আমাদের কর্মসূচি সারা ভারত জুড়ে বিস্তৃত। আমরা প্রত্যন্ত এলাকায় মহিলাদের স্বপ্নকে সফল করতে উৎসাহ জোগাই।'' 


(এই প্রতিবেদনটি পেইড ফিচার । ABP অথবা ABP LIVE এখানে প্রকাশিত মতামতকে সমর্থন/সাবস্ক্রাইব করে না। এখানে যা বলা হয়েছে অথবা বিবৃত/ মতামত অথবা ঘোষণার বিষয়ে আমরা কোনওভাবেই দায়ী অথবা দায়বদ্ধ থাকব না। উল্লিখিত প্রবন্ধে পাঠককে কঠোরভাবে বিবেচনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।)