GST on UPI Transaction: ২০০০ টাকার উপরে লেনদেন করলেই ইউপিআই-তে দিতে হবে ১৮ শতাংশ জিএসটি ! এমন বার্তাই সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এবং সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্টীকরণ (UPI Transaction) দেওয়া হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ২০০০ টাকার বেশি ইউপিআই লেনদেনের উপর ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি (GST on UPI Transaction) আরোপের দাবিকে ভুয়ো এবং মিথ্যে বলেছে। এমনকী এই তথ্য বিভ্রান্তিকর বলেও জানানো হয়েছে। বর্তমানে সরকারের কাছে এমন কোনও প্রস্তাব আসেনি বলেই উল্লেখ করেছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, জিএসটি ধার্য করা হয়েছে সার্ভিস চার্জের উপরে, যেমন মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট যা কিনা নির্দিষ্ট কিছু মাধ্যমে পেমেন্টের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস পার্সন টু মার্চেন্ট ইউপিআই লেনদেন থেকে এই মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট অপসারণ করে। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই ঘোষণা করা হয়েছিল।
ইউপিআই লেনদেনের ক্ষেত্রে বর্তমানে কোনও এমডিআর ধার্য (GST on UPI Transaction) করা হয় না। ফলে এই ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনও জিএসটি ধার্য করা হবে না। সরকারের তরফ থেকে এখনও ইউপিআইয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্টে মদত দেওয়া হয়। ইউপিআইয়ের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২১-২২ থেকেই চালু হয়েছে ইনসেনটিভ স্কিম। মূলত কম অঙ্কের ইউপিআই লেনদেনের ক্ষেত্রেই এই স্কিম প্রযোজ্য হবে। এতে উপকৃত হবেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
২০২১-২২ সালে এই স্কিমের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফে বরাদ্দ হয়েছিল ১৩৮৯ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ সালে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ২২১০ কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪ সালে এই বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ৩৬৩১ কোটি টাকা। আর এর মাধ্যমেই ভারতের ডিজিটাল পেমেন্টের দুনিয়া বা ইকোসিস্টেমে ব্যাপক বৃদ্ধি হয়েছে।
২০১৯-২০ সালে যেখানে দেশে ইউপিআই লেনদেনের অঙ্ক ছিল মোট ২১.৩ লক্ষ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৫ সালের মার্চে এই অঙ্ক বেড়ে হয়েছে ২৬০.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা। পিটুএম লেনদেনের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৫৯.৩ লক্ষ কোটি টাকা। এর ফলেই বোঝা যায় যে মার্চেন্ট অ্যাডপশন ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে এবং ডিজিটাল পেমেন্টে ভরসা বাড়ছে মানুষের।