Toll Tax System: জাতীয় সড়কের টোল ট্যাক্স বেড়েছিল আগেই। তবে এখনই সেই বর্ধিত টোল কর দিতে হবে না সাধারণ মানুষকে। এপ্রিল ১ তারিখ থেকেই চালু হওয়ার কথা ছিল এই বর্ধিত টোল ট্যাক্স। তবে ভারতের নির্বাচন কমিশন এই টোল ট্যাক্সের বর্ধিত দামে (Toll Rate Hike) স্থগিতাদেশ জারি করার নির্দেশ দিলেন NHAI সংস্থাকে। জানা গিয়েছে, NHAI-কে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছেন যাতে নতুন টোল কর ব্যবস্থা লোকসভা ভোটের পরে চালু করা যায়। সাধারণত দেশের সমস্ত জাতীয় সড়কেই টোল কর ১ এপ্রিল থেকে বেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তা আর বাড়ছে না আপাতত। জুন মাসে ভোটের ফলাফল প্রকাশ না পাওয়া পর্যন্ত বাড়বে না টোল কর।
মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে টোল কর
কথা ছিল এবার ৫ শতাংশ হারে বাড়বে টোল কর। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কয়েক মাসের জন্য স্থগিত রইল। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে নির্বাচন কমিশন একটি বিবৃতিতে স্পষ্টই এই সময়ের জন্য টোল ট্যাক্স বাড়ান স্থগিত করেছে। নির্বাচন কমিশন রোড ট্রান্সপোর্ট ও সড়ক মন্ত্রীর চিঠির জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন। ১ এপ্রিল থেকেই এই টোল ট্যাক্স (Toll Rate Hike) ৫ শতাংশ বাড়ার কথা ছিল। মূলত প্রতি বছর মুদ্রাস্ফীতির হারের উপর নির্ভর করে এই টোল কর বাড়ান হয়ে থাকে।
জাতীয় সড়কে ৮৫৫টি টোল প্লাজা রয়েছে
আগামী ১৯ এপ্রিল থেকেই লোকসভা ভোট শুরু হয়ে যাবে। তারপর ভোট হবে ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও ১ জুন। ৪ জুন হবে ভোটের ফলাফল প্রকাশ। ন্যাশনাল হাইওয়ে নেটওয়ার্কের অধীনে এখন মোট ৮৫৫টি টোল প্লাজা রয়েছে। ন্যাশনাল হাইওয়েজ বিল্ডার্স ফেডারেশন সম্প্রতি একটি চিঠি লিখে NHAI-কে বর্তমান অবস্থার ব্যাখ্যা দাবি করেছে। তাঁরা জানিয়েছে যে নতুন টোল কর (Toll Rate Hike) লাগু করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে তাঁদের, যা কিনা দ্বিধা তৈরি করছে। NHAI-কে এই বিভ্রান্তি দূর করতে হবে।
বিদ্যুতের দামও বাড়বে ভোটের পরেই
নির্বাচন কমিশন এও জানিয়েছে যে, রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন ভোটের পরে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে পারে। তবে সেই রাজ্যে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পরেই সেই বর্ধিত দাম কার্যকর করা হবে বলেই জানিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।