Continues below advertisement

 

 

Continues below advertisement

Bhavish Aggarwal : এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বদলে গেল কোম্পানির আর্থিক পরিস্থিতি। মঙ্গলবার ভারতের শেয়ার বাজারে বিশেষ মুহুরত ট্রেডিং সেশনের সময় ভবিশ আগরওয়ালের নেতৃত্বাধীন ওলা ইলেকট্রিক মোবিলিটির শেয়ারের দাম তীব্র চাপের মুখে পড়ে। কোম্পানির এক কর্মচারীর আত্মহত্যার ঘটনায় সংস্থার টপ এক্সিকিউটিভদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ার পরই এই ধরনের ধস নেমেছে শেয়ারে

আজ কী হয়েছে ওলা ইলেক্ট্রিকের স্টকে

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) ওলা ইলেকট্রিকের শেয়ারের দাম ৪.১৬ শতাংশ কমেছে, যা দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫২.৬৫ টাকা। শেষের দিকে, শেয়ারের দাম ছিল ৫৩.৪৩ টাকা, যা ১.৫১ টাকা বা ২.৭৫ শতাংশ কমেছে। এই সেশনের সময় এনএসই এবং বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) উভয় স্থানেই প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ইক্যুইটি শেয়ারের দাম লেনদেন হয়েছে, যার মূল্য ২৪.০৮ কোটি টাকা।

পুলিশ কী বলছে

বেঙ্গালুরু পুলিশ ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে ওলার সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা ভবিশ আগরওয়ালসিনিয়র এক্সিকিউটিভ সুব্রত কুমার দাসের নাম উল্লেখ করেছে। এই রিপোর্ট প্রকাশের পর শেয়ারের দামে তীব্র পতন ঘটে।

কার আত্মহত্যার পর এই মামলা

এই মামলাটি ৩৮ বছর বয়সী ওলার কর্মচারী কে অরবিন্দের আত্মহত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। যিনি তার সিনিয়রদের কর্মক্ষেত্রে হয়রানির অভিযোগে ২৮ পৃষ্ঠার একটি বিস্তারিত মৃত্যু নোট রেখে গেছেন বলে জানা গেছে। কোম্পানির হোমোলজেশন বিভাগে কর্মরত অরবিন্দ ২৮ সেপ্টেম্বর তার বাসভবনে বিষ খেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

আত্মহত্যায় প্ররোচনা

পরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও অরবিন্দ বাঁচেননি। অরবিন্দের ভাইয়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ১০৮ ধারার অধীনে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছে। ওই অভিযোগে ১৭.৪৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ওলার এইচআর বিভাগ অরবিন্দের অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক অর্থ স্থানান্তর করেছিল। যদিও তার ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানি।

পাল্টা কী বলছে পুলিশ

একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তা নিশ্চিত করেছেন, এফআইআর-এ নাম থাকা সকল ব্যক্তিকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ওলার মুখপাত্র এর আগে বলেছিলেন, তারা অরবিন্দের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত ও তার পরিবারের প্রতি সমব্যথী

ওলা এই বিষয়ে কী বলেছে

কোম্পানি দাবি করেছে, ওলা ইলেকট্রিকে অরবিন্দের ৩.৫ বছরের কর্মজীবনে তিনি কোনও অভিযোগ তোলেননিএমনকী সিইও সহ ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের সঙ্গেও তার সরাসরি কোনও যোগাযোগ ছিল না। ওলা আরও জানিয়েছে, তারা কর্ণাটক হাইকোর্টে এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করেছে, যেখানে কোম্পানি ও তার কর্তাদের পক্ষে আদেশ দিয়েছে কোর্ট। সংস্থাটি বলেছে, তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেনিরাপদসম্মানজনক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ