Games Banned In India: গেমারদের প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা করতে এবার অনলাইন গেমিং বিলে (Online Gaming Bill) অনুমোদন দিল সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) সভাপতিত্বে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনলাইন গেমিং বিল অনুমোদিত হয়েছে। এর পর অনলাইন বাজি দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হবে। বুধবার লোকসভায় এই বিলটি তোলা হতে পারে। 

এই বিলের বিষয়ে কী বলেছে সরকার সরকার জানিয়েছে- এই পদক্ষেপ লিস্টেড ও নন লিস্টেড এমন কোম্পানিগুলিকে কেন্দ্র করে গেমিং শিল্পে স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করবে। রিপোর্ট বলছে, নতুন বিলটিতে কিছু অনলাইন গেম নিষিদ্ধ করার বিধানও রয়েছে। অর্থাৎ, অনলাইন গেমে আসক্তি, আর্থিক ক্ষতি বা সামাজিক প্রভাব পরে এমন গেম নিষিদ্ধ করতে পারে সরকার।

গেমিং শিল্পের উপর প্রভাবএই বিলের উদ্দেশ্য হল,অনলাইন গেমিং সেক্টরে আইন নির্ধারণ করা ও গেমারদের নিরাপদ পরিবেশ দেওয়া। বর্তমানে, গেমিং কোম্পানিগুলির উপর স্পষ্ট নিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে, যে কারণে গ্রাহকরা প্রায়শই শোষণ ও প্রতারণার শিকার হন।

নতুন আইনের পরে, ভারতের কোটি কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারীর অনলাইন গেমিং শিল্প সরাসরি প্রভাবিত হবে। বিশেষ করে যেসব কোম্পানি কোনও নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ভার্চুয়াল মানি, রিয়েল ক্যাশ গেম বা বাজি সম্পর্কিত গেম চালাচ্ছে, তাদের নীতি পরিবর্তন করতে হবে।

কোন গেমগুলি নিষিদ্ধ করা হতে পারে ?বিলটিতে সেইসব গেমগুলি নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে- যা জুয়া বা বাজি ধরে। ভার্চুয়াল মানি বা রিয়েল ক্যাশ বাজির উপর ভিত্তি করে তৈরি গেমও নিষিদ্ধ করতে পারে সরকার। এ ছাড়াও  গেমারদের আসক্তি বৃদ্ধি করে ও আর্থিক ক্ষতি করে এমন গেমগুলিকে চিহ্ণিত করা হবে। এখানেই নেই শেষ নয়, হিংসাত্মক বা আপত্তিকর বিষয়বস্তু প্রচার করে এমন গেমগুলিকেও নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।  

PM Modi :  দীপাবলির আগেই সস্তা হতে পারে অনেক নিত্যদিনের জিনিসের দাম (Price Drop)। ১৫ অগাস্ট লালকেল্লা থেকে সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জিএসটি সংস্কারের (GST Reforms) ফলে আগামী দিনে অনেক জিনিসের দাম কমতে পারে। কর কাঠামো উন্নত করা ছাড়াও ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা কমানোই জিএসটি সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য।। 

কী করতে চাইছে সরকারপ্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ভাষণে বলেছেন, দেশবাসীর দৈনন্দিন প্রয়োজনেই কর ও দাম কমানো হবে। বর্তমানে জিএসটির পাঁচটি স্ল্যাব রয়েছ-, যা ০ শতাংশ, ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ। কিন্তু এখন সরকার এটিকে মাত্র ২টি স্ল্যাবে আনতে চায়। শোনা যাচ্ছে, পণ্যের ওপর সেস বাতিল করা হতে পারে। এটি স্থানীয় বিক্রেতা, এমএসএমই এবং গ্রাহকদের জন্য বড় স্বস্তির খবর। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ২৮ শতাংশ স্ল্যাবে পড়া ৯০ শতাংশ পণ্য ১৮ শতাংশ স্ল্যাবের আওতায় আনা হবে। যদিও ১২ শতাংশ জিএসটি ৫ শতাংশে বদলে যাবে।