Continues below advertisement

 

 

Continues below advertisement

Telegram Scam : ডিজিটাল ইন্ডিয়া (Digital India) দেশে সুবিধার পাশাপাশি নিয়ে এসেছে কিছু সমস্যা। এখন সাধারণ মানুষের কষ্টের পয়সায় থাবা বসাচ্ছে প্রকতারকরা (Online Fraud)। বিশেষ কর অনলাইনে বিনিয়োগের নামে চলছে এই ঠগবাজি (Investment Scam)

আপনি করছেন না তো এই ভুল

মনে রাখবেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেকোনও বড় সিদ্ধান্ত সাবধানে নেওয়া উচিত। প্রায়শই, আকর্ষণীয় কিছুর প্রলোভনে পড়ে আমরা এমন কিছু করি, যা পরে আমাদের ক্ষেত্রে বড় আর্তিক ক্ষতির কারণ প্রমাণিত হতে পারে। একই রকম ঘটনা ঘটেছে চণ্ডীগড়ের এক ব্যক্তির সঙ্গে। যিনি বিনিয়োগ প্রকল্পে ১.৫ মিলিয়ন (১৫ লাখ টাকা) প্রতারণা করেছিলেন।

চণ্ডীগড়ের ঘটনা

সেক্টর ১৪-এর বাসিন্দা ভানু, ৩ জুন টেলিগ্রামের মাধ্যমে প্রশান্ত শ্রী নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এই প্রকল্পের কথা প্রথম জানতে পারেন। ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন, তিনি তাকে একটি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহজে অর্থ উপার্জন করতে সাহায্য করতে পারেন। যেখানে ১০,৯৯৯ টাকা প্রাথমিক জমা করলে তাকে দৈনিক ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে।

ধীরে ধীরে আস্থা বৃদ্ধি

এই লোভনীয় প্রস্তাবের কথা শুনে ভানু আর লোভ সামলাতে পারেননি। তিনি দ্রুত টাকা ট্রান্সফার করেন। আশ্চর্যজনকভাবে, তিনি তৎক্ষণাৎ ১৫,০০০ টাকা লাভ পেয়ে যান। যার ফলে তিনি এই প্রকল্পে আত্মবিশ্বাস পেয়ে যান। যেকারণে তিনি বারবার এই প্লাটফর্মে বিনিয়োগ করতে থাকেন। পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ধরে এরকম চলতে থাকে। ভানু লেনদেনের মাধ্যমে ১৫.১৭ লক্ষ টাকা জমা করেন। কিন্তু লাভের সময় এলেই আসল ফাঁদের বিষয়ে বুঝতে পারেন তিনি।

প্রতারণা বিষয়ে কখন বুঝতে পারেন

ভানু যখন তার টাকা ফেরত চেয়েছিলেন, তখন তার কাছ থেকে "যাচাই ফি" হিসেবে ২.৪৪ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে এই বিষয়ে তর্ক করেননি তিনি। ভেবেছিলেন, তিনি যথেষ্ট পরিমাণ টাকা পেতে চলেছেন, তাই তিনি এই ফি তাকে দিতে হচ্ছে। কিন্তু এবারও যখন টাকা পৌঁছায়নি, তখন ভানুর মনে এই নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। তিনি বুঝতে পারেন, এর মধ্য়ে কিছু একটা গণ্ডগোল আছে। আগে যে অ্যাপলিঙ্কগুলিতে চিত্তাকর্ষক রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি পরে ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়

ভানু যখন বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন, তখন তিনি সেক্টর ১৭-এর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে, প্রতারণায় ব্যবহৃত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি সনাক্ত করা হচ্ছে। অপরাধীদের এখনও সনাক্ত করা যায়নি। আপনিও যদি এই ধরনের প্রতারণার মুখে পড়েন,তাহলে আগে থেকেই সাবধান হোন।