Pakistan Stock Exchange: ভারত এখনও হামলা (India Pakistan War) করেনি, তার আগেই ধসে গেল পাকিস্তানের স্টক এক্সচেঞ্জ (PSX)। পরিসংখ্যান বলছে, ২৩ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পাকিস্তানের বেঞ্চমার্ক (Karachi Stock Exchange) কেএসই-১০০ সূচক ৭,১০০ পয়েন্টেরও বেশি পতন হয়েছে, যা প্রায় ৬ শতাংশ। 

কী কারণে এই পতন২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার ফলে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে উপমহাদেশে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে বাজারের এই পতন বিনিয়োগকারীদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।

কী অবস্থা পাকিস্তানের স্টক মার্কেটের৩০ এপ্রিল সূচকটি তার সাম্প্রতিকতম সবথেকে বড় পতন দেখেছে। ওইদিন ৩.০৯ শতাংশ বা ৩,৫৪৫ পয়েন্ট কমে ১,১১,৩২৬.৫৭ এ বন্ধ হয়েছে সূচক। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারত সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের সতর্কবার্তা দেওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ে। এই উদ্বেগের কারণে তীব্র পতনের সাক্ষী হয়েছে পাকিস্তানের শেয়ার বাজার। দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, LUCK, ENGROH, UBL, PPL এবং FFC-এর মতো প্রধান সূচকগুলিতে ব্যাপক সেল দেখা গেছে। যার ফলে যৌথভাবে সূচকটি ১,১০০ পয়েন্টেরও বেশি কমেছে।

তবে, ২ মে বাজার আংশিক রিকভারি দেখিয়ে ২,৭৮৫ পয়েন্ট বা ২.৫ শতাংশ বেড়ে ১১৪,১১৯-এ ক্লোজিং দিয়েছে বাজার। যদিও এই রিকভারি নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলেছেন, এই উত্থানে বিনিয়োগ আত্মহত্যার মতো হতে পারে। যদি না দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা শান্ত হতে শুরু করে।

চালের দাম ৩৪০ টাকারিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানে শাকসবজি, ফলমূল, আটা, চাল ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া। চাল প্রতি কেজি প্রায় ৩৪০ টাকায় পৌঁছেছে, মুরগির দাম ৮০০ টাকায় চলে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ থাকায় তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও গুরুতর হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিজেই নিজের ক্ষতি করেছে পাকিস্তানপহেলগাঁওয়ে হামলার পর পাকিস্তান তার অর্থনীতির ক্ষতি করার পথে হেঁটেছে। ভারতীয় বিমানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তানষ এর ফলে তারা লক্ষ লক্ষ ডলার আয় বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর তারা একই পদক্ষেপ নিয়েছিল। প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল সেবার। সেই সময় প্রতিদিন প্রায় ৪০০টি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছিল। এর ফলে পাকিস্তানের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি ও পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।