Ayurvedic Medicine: ভারতের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী স্বাস্থ্য পরিষেবা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা জড়িত রয়েছে এই আয়ুর্বেদের সঙ্গে, আয়ুর্বেদিক ওষুধের সঙ্গে। আগে এই আয়ুর্বেদিক ওষুধের উপরে মানুষের ভরসা ছিল কম, অনেকেই এই ওষুধকে (Patanjali News) বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করতেন না। কিন্তু এই অবস্থা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বড় বড় ভারতীয় আয়ুর্বেদ সংস্থা যেমন পতঞ্জলি, ডাবর, হিমালয়, সান হার্বালস এখন তাদের সমস্ত পণ্য বিজ্ঞানসম্মতভাবে (Ayurvedic Medicine) প্রমাণ করেছে এবং এর মাধ্যমেই প্রাকৃতিক চিকিৎসার উপরে মানুষের বিশ্বাস বাড়ছে ধীরে ধীরে।
পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ তাদের রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাহায্যে বেশ কিছু ভেষজের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করেছে, আন্তর্জাতিক স্তরের জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশও করেছে। সম্প্রতি ফুসফুসের রোগের উপরে পতঞ্জলির গবেষণাপত্র বিশ্বখ্যাত জার্নাল 'বায়োমেডিসিন অ্যান্ড ফার্মাকোথেরাপি'তে প্রকাশ পেয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্রঙ্কম মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে ফুসফুসের প্রদাহ হলে তা কমাতে সাহায্য করে।
ডাবর চবনপ্রাশের উপরে নানাবিধ বৈজ্ঞানিক গবেষণা (Patanjali News) চালিয়েছে, এমনকী মধুর বেশ কিছু পণ্যের উপরেও বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালিয়েছে। সেই গবেষণার ফলাফলও প্রকাশ করেছে। এই ফলাফল (Ayurvedic Medicine) ভোক্তাদের গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জনে সাহায্য করেছে। হিমালয়া ওয়েলনেস কোম্পানিও একইভাবে অ্যালোপ্যাথি ও আয়ুর্বেদের মিশ্রণ ঘটাতে চাইছে। তাদের বেশ কিছু পণ্য যেমন 'Liv 52', 'Septilin' ইত্যাদি অনেক চিকিৎসকও খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, কারণ এই ওষুধগুলি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে গিয়েছে।
পতঞ্জলি, হিমালয়া, সান হার্বালস, ডাবর একসঙ্গে তাদের ওয়েবসাইটে বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রের উল্লেখ করতে শুরু করেছে, পণ্যের প্যাকেজিংয়েও এই উল্লেখ থাকছে যা ভোক্তাদের আকৃষ্ট করছে। শিক্ষিত গ্রাহকদেরও আকৃষ্ট করছে এই বিজ্ঞাপনী কৌশল।
গ্রাহক বা ভোক্তাদের মানসিকতা পাল্টাচ্ছে
শহরের যুবক থেকে গ্রামীণ পরিবার, রাসায়নিক সমৃদ্ধ পণ্যের থেকে অনেকেই এখন আয়ুর্বেদিক বিকল্পের খোঁজ করছেন। এই ধরনের প্রোডাক্ট বৈজ্ঞানিক সত্য হিসেবে সমাজমাধ্যম, ইউটিউব চ্যানেল এবং হেলথ ইনফ্লুয়েন্সারের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে।
আজকের দিনে মানুষ বেশিমাত্রায় স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠেছে, যদি আয়ুর্বেদ বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নিয়ে সামনে আসে, তাহলে এটি কেবলমাত্র যে ঐতিহ্য হয়ে উঠবে তাই নয়, আগামী দিনের ঔষধশাস্ত্রের বিকল্পও হয়ে উঠবে। নতুন যুগের দিকে ঠেলে দিয়েছে আয়ুর্বেদকে আর তা সম্ভব হয়েছে বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে।