Baba Ramdev : রঙের উৎসবে গোটা দেশের সঙ্গে মাতল পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে দেশের অন্য জায়গার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোলি ছিল কিছুটা আলাদা। উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয় হোলি উৎযাপন করা হল ‘হোলিকোৎসব যজ্ঞ ও ফুলের হোলি’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে কী বললেন বাবা রামদেব
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর যোগগুরু বাবা রামদেব এবং উপাচার্য আচার্য বালকৃষ্ণ। এই উপলক্ষ্যে যোগগুরু স্বামী রামদেব সমস্ত দেশবাসীকে বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যোগ এবং যজ্ঞ হল আমাদের সনাতন ধর্মের প্রাণ। হলিকোৎসব অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে স্বামী রামদেব বলেন, "হোলি শুধুমাত্র রঙের উৎসবই নয়, বরং এটি সামাজিক সম্প্রীতি, প্রেম, ভ্রাতৃত্ব ও মন্দের ওপর ভালোর জয়ের প্রতীক।"
সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, "আসুন হোলিতে আমরা সংকল্প করি যাতে আমরা আত্ম-নিন্দা, আত্ম-বিস্মৃতি, আত্ম-সম্মোহন দ্বারা পরাস্ত না হই। আমরা যেন সর্বদা সত্যে অবিচল থাকি, আমাদের সত্যের পথে, সনাতন পথ, বৈদিক পথ, ঋষিদের পথে অগ্রসর হই।"
নেশা নিয়ে উদ্বেগ বাবা রামদেবের
হোলির এই উৎসব উপলক্ষ্যে বাবা রামদেব আরও বলেছেন, "আমরা সনাতন ধর্মের প্রতিটি উত্সব যোগ ও যজ্ঞের সাথে উদযাপন করি। যোগ ও যজ্ঞ হল জীবন। আমাদের সনাতন ধর্মের সারাংশ।" ভাং ও মদের নেশায় এই সম্প্রীতি নষ্ট হতে না দেওয়ার জন্য রামদেব সমস্ত দেশবাসীর কাছে আবেদন জানান। তিনি বলেন, ''এগুলি সমাজের জন্য ক্ষতিকর।”
হোলি হল অহং ত্যাগ করার উৎসব, বলেন আচার্য বালকৃষ্ণ
অনুষ্ঠানে আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, "হোলি হল অহং ত্যাগের উৎসব। এটি হোলিকায় আমাদের অভ্যন্তরীণ ত্রুটিপূর্ণ আবেগের হিরণ্যকশিপুকে পোড়ানোর উৎসব। হোলিতে, আমরা আমাদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ভ্রাতৃত্বের রঙে নিজেকে রাঙাই, এই পবিত্র উৎসবকে অর্থবহ করে তুলি।" তিনি দেশবাসীকে সম্পূর্ণ সত্ত্বের সঙ্গে হোলি উদযাপনের আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, হোলিতে গোবর, কাদা এবং রাসায়নিকভাবে শোধন করা রং ব্যবহার করবেন না। শুধুমাত্র ফুল এবং ভেষজ আবির দিয়ে হোলি খেলুন। রাসায়নিক ব্যবহার করা রংগুলি চোখ ও চর্মরোগের কারণ হতে পারে।
এ সময় আচার্য বালকৃষ্ণ হোলি খেলার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, হোলি খেলার আগে আপনার শরীরের অনাবৃত অংশে সরিষা বা নারকেল তেল বা কোল্ড ক্রিম লাগান, এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক রং থেকে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
অনুষ্ঠানে পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মী, ইউনিট প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, পতঞ্জলি ইনস্টিটিউটের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিটের কর্মচারী, অধ্যক্ষ, শিক্ষক, ছাত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, সন্ন্যাসী ভাই ও সাধ্বী বোনেরা উপস্থিত ছিলেন।