Paytm: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কড়া নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর থেকেই পেটিএমের শেয়ারে ধস নেমেছে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বাজারে ২০ শতাংশ পড়ে যায় পেটিএমের শেয়ার (Paytm Share Price)। প্রবল সেলিং প্রেশারে ক্রমশ কমেছে শেয়ারের দাম। সপ্তাহের শুরুতেও রেহাই নেই। সোমের বাজারে ফের ১০ শতাংশ কমে গেল পেটিএমের শেয়ারের দাম।


আজও পতন শেয়ারের দামে


ভারতে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক (Paytm Share Price) ইউনিটের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিতেই এই ধস নেমেছে শেয়ার বাজারে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই নির্দেশ দিতেই পেটিএমের শেয়ারে পতন শুরু হয়েছে। পেটিএমের স্টকের দাম ছয় সপ্তাহের সর্বনিম্ন ৬০৯ টাকায় নেমে এসেছিল গত সপ্তাহেই। আজ আরও কমে শেয়ারের দাম হল ৪৩৮.৩৫ টাকা। আজকের বাজার ধরলে পরপর তিনটি ট্রেডিং সেশনে লোয়ার সার্কিট দেখাল এই সংস্থার শেয়ার। ৩ দিনে শেয়ারের দাম পড়ল ৪২ শতাংশ। এই শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা খোয়ালেন ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।


রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল


পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের (Paytm Share Price) বিরুদ্ধে একটি বড় পদক্ষেপে, বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ঋণদাতাকে ২৯ ফেব্রুয়ারির পরে কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট, ওয়ালেট, FASTags এবং অন্যান্য উপকরণগুলিতে আমানত বা টপ-আপ গ্রহণ না করার নির্দেশ দিয়েছে৷ সেই কারণে কোনও সুদ, ক্যাশব্যাক, বা রিফান্ড যেকোনও সময় গ্রাহকদের কাছে ফেরত যেতে পারে।


ইডির তদন্ত


এরই মাঝে সমাজমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল যে অর্থ পাচারের সন্দেহে পেটিএমের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে ইডি। তবে গত রবিবার এই সমস্ত প্রতিবেদন অস্বীকার করেছে সংস্থা। পেটিএমের মূল সংস্থা ওয়ান ৯৭ কমিউনিকেশনসের (One 97 Communications) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই প্রতিবেদন আদপেই সত্য নয়। পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনও গুজবে কান দেবেন না। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওয়ান ৯৭ কমিউনিকেশনস, এর সহযোগী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বিজয় শেখর শর্মার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দ্বারা কোনও তদন্ত করা হচ্ছে না। আগে আমাদের প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত অনেকের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত করা হয়েছিল। সংস্থাটি এই বিষয়ে ইডিকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছিল। আমরা সব সময় কর্তৃপক্ষকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছি।


বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন পেটিএমের (Paytm Share) শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। বাজারে ছড়িয়ে পড়া সন্দেহ, ভয়ের কারণে শেয়ারে সেলিং প্রেশার খুবই বেশি। এখন খুব বেশি লস বুক না করে আগে বেরিয়ে পড়া যেতে পারে শেয়ার থেকে।


আরও পড়ুন: Tata Motors: ত্রৈমাসিকের ফল বেরোতেই দাম বাড়ল টাটা মোটরসের শেয়ারের, কিনে রাখবেন ?