Russia Ukraine War: মাঝে মহাশিবরাত্রির ছুটিও বদলাল না বাজারের চাল। বুধবার সকাল থেকেই শেয়ার বিক্রির ধুম পড়ে যায় দালাল স্ট্রিটে। ফলে দিনভর লালেই ছিল সেনসেক্স ও নিফটির সূচক। শেষবেলায় গতি বাড়ায় বুলসরা। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও আরও বেশকিছু কারণে পড়েছে সূচক। 


১ Russia Ukraine War: সাতদিনে পড়ল যুদ্ধ
দেশের শেয়ার বাজার পড়ার পিছনে প্রধান কারণ হিসাবে দেখা হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনই বিশ্ববাজারে পতনের প্রধান কারণ হিসাবে দেখছে পশ্চিমি দেশগুলো। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা না থামায় ক্রেমলিনের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বেশকিছু দেশ। SWIFT ফিন্যান্সিয়াল নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে রাশিয়াকে। যা রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক সঙ্কটের সৃষ্টি করেছে। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বের সব শেয়ার বাজারে। এমনকী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘেঁষা দেশগুলি নিজেদের দেশে রাশিয়ার বিমান নামাও বন্ধ করে দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্বের শান্তি আলোচনায় বসতে পারে রাশিয়া ও ইউক্রেন। 


২ Crude on fire: তেলের দামে আগুন
বিশ্বের প্রাকৃতিক গ্যাস ও অপরিশোধিত তেলের অফুরন্ত ভাণ্ডার রাশিয়া। তাই রাশিয়া যুদ্ধে নামায় বেড়ে গিয়েছে তেলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে এখন ব্যারেল পিছু তেলের দাম ১১০ ডলার। যা প্রায় সর্বকালীন রেকর্ড। কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না এই তেলের দাম। ফলে এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে বিশ্বের অর্থনীতিতে। বেগতিক দেখে ইতিমধ্যেই নিজেদের মজুত অপরিশোধিত ৬০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল বাজারে আনার কথা বলেছে আমেরিকা।


তেলের এই দাম বৃদ্ধি চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতের। কারণ দেশের ৮০ শতাংশ অপিরশোধিত তেল বাইরে থেকে আমদানি করে ভারত। ব্যারেল পিছু এই দাম বাড়ায় মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে দেশে। যানবাহনের জ্বালানির কাছে এই তেল লাগায় বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।যা দেশের রাজস্বেও ঘাটতি বাড়াবে।


৩ Bond yields and rate hikes: আমেরিকায় সুদের হার বৃদ্ধি ?
IFA Global Research বলছে, চলতি মাসেই সুদের হার বাড়াতে পারে আমেরিকা। আগেই অর্থমন্ত্রকের নীতি নির্ধারণের আলোচনায় এই নিয়ে কথা হয়েছে। বুধবারই আমেরিকায় সুদের হার বৃদ্ধি নিয়ে বৈঠকে বসার কথা মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরম পাওয়ালের। এই সুদের হার বেড়ে গেলে নিশ্চিত সুদের আশায় অনেকেই ওয়াল স্ট্রিট থেকে টাকা তুলে নেবেন। ভারতের শেয়ার বাজার থেকেও বিনিয়োগ তুলে নেবেন আমেরিকার বিনিয়োগকারীরা। ফলে স্টক মার্কেট নিম্নমুখী হওয়টাই স্বাভাবিক।


৪ India's Weak GDP: জিডিপি পড়েছে দেশের
পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের তুলনায় চলতি ত্রৈমাসিকে কমেছে gross domestic product(GDP)-র হার। যা এখন এসে দাঁড়িয়েছে ৫.৪ শতাংশে। যদিও বাজার ও শিল্প মহলের আশা ছিল, এই হার ৫.৯ শতাংশ পৌঁছেবে। তাই লক্ষ্যচ্যুত হওয়ায় জিডিপির প্রভাব পড়েছে দেশের শেয়ার মার্কেটে। 


৫ Weak global market: বিশ্ব বাজারে পতন
১ মার্চে সব প্রধান মার্কিন সূচকগুলিই নিচে নেমেছে। মহাশিবরাত্রির কারণে পয়লা মার্চ ভারতীয় বাজারগুলি বন্ধ ছিল। সেখানে মার্কিন বাজার S&P 500 1.5 শতাংশ কমেছে। টেক হেভি Nasdaq 100-এ দেখা গিয়েছে 1.6 শতাংশ পতন। একইসঙ্গে ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ 1.8 শতাংশ কমেছে আমেরিকায়। MSCI ওয়ার্ল্ড ইনডেক্স 1.4 শতাংশ কমেছে। এদিন বুধবার সেই প্রভাব পড়েছে সেনসেক্স ও নিফটিতে। এদিন দিনের শেষে নিফটি ১.১২ শতাংশ কমে ১৬,৬০৫.৯৫-এ বন্ধ হয়েছে। সেনসেক্স কমেছে ১.৩৮ শতাংশ। ৫৫,৪৬৮.৯০-তে থমকেছে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের বুলসরা।


Jeep Wrangler Rubicon: ৬০ লাখের অফরোডার, কেমন দেখতে জিপ র‍্যাংলার রুবিকন


Ford Endeavour 2022: ফের শিরোনামে ফোর্ড, ভারতে আসতে পারে এভারেস্ট মডেল, দেখে নিন ছবি