Kisan Mandhan Yojana: ভারতের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ কৃষিকাজ এবং খামার পরিচালনার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। দেশে এখনও এমন অনেক কৃষক আছেন যাদের কাছে খুব কম চাষযোগ্য জমি (PM Kisan Mandhan Yojana) রয়েছে এবং তারা কৃষিকাজ থেকে সেভাবে ভাল রোজগারও করতে পারেন না। আর তাই সেই সমস্ত কৃষকদের জন্য আর্থিক সুবিধে দেয় কেন্দ্র সরকার।


কেন্দ্র এর কারণে নিয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা (PM Kisan Samman Nidhi Yojana) যাতে কৃষকরা আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। কিন্তু শুধু এটিই নয়, কৃষকদের জন্য পেনশনেরও ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র সরকার। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মনধন যোজনা। কীভাবে এই যোজনার জন্য আবেদন করতে হয় ? আরও কী কী সুবিধে মেলে ?


প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকার পেনশন


কেন্দ্র সরকারের উদ্যোগে ২০১৯ সালে চালু করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মনধন যোজনা যার মূল উদ্দদেশ্য রয়েছে বৃদ্ধ বয়সে দেশের কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া। এরকম বহু কৃষক দেশে আছেন যারা বার্ধক্যের কারণে কৃষিকাজ থেকে ভাল আয় করতে পারেন না। এমনকী তাদের ভাল পরিমাণ জমিও নেই। সেই সমস্ত কৃষকরা যাতে বৃদ্ধ বয়সে অন্য কারও উপর নির্ভরশীল না হয়ে পড়েন, সেই কারণে কেন্দ্র সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে যাতে মাসিক পেনশনের সুবিধে পাবেন কৃষকরা।


দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধে পাচ্ছেন, যে কোনো ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এই সুবিধে পাবেন। যদি কোনো কৃষক ১৮ বছর বয়সে এই প্রকল্পে পেনশনের জন্য আবেদন করেন, তাহলে তাকে প্রতি মাসে ৫৫ টাকা করে জমা দিতে হবে। যে পরিমাণ টাকা কৃষকরা জমা দেন, একই পরিমাণ টাকা সেই কৃষকের নামে সরকারের তরফেও জমা করা হয়। ৬০ বছর বয়স উত্তীর্ণ হলে এই প্রকল্প থেকে কৃষকরা মাসে ৩ হাজার টাকা করে পেনশন পান।


এভাবে করতে হয় আবেদন


এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। আবেদনকারী যেন কোনোভাবেই করদাতা না হন। ইপিএফও, এনপিএস কিংবা ইএসআইসি ইত্যাদি প্রকল্পে আবেদনকারীর নাম থাকা যাবে না। http://maandhan.in/ ওয়েবসাইট থেকে কৃষকরা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন।


এরপরে আপনাকে ক্লিক করতে হবে সেলফ এনরোলমেন্ট ট্যাবে। তারপর বসাতে হবে নিজের মোবাইল নম্বর। ওটিপি বসালেই রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হবে। তারপর সমস্ত তথ্য পূরণ করে আবেদন সম্পূর্ণ করতে হবে।


এর জন্য আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের প্রথম পাতার কপি, ঠিকানার প্রমাণপত্র, পাসপোর্ট মাপের ছবি এবং মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে।


আরও পড়ুন: Share Buying Tips: শেয়ার কেনা-বেচা করেন ? ফান্ডামেন্টালের এই বিষয়গুলি দেখে নিলে বাড়বে মুনাফার সুযোগ