Dalal Street Update: দালাল স্ট্রিটের জন্য দুঃসংবাদ। চলে গেলেন দেশের শেয়ার বাজারের অন্যতম বড় বিনিয়োগকারী রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা। ভারতের বাজারের 'বিগ বুল' বলা হত তাঁকে। ঝুনঝুনওয়ালা হাঙ্গামা মিডিয়া ও অ্যাপটেকের চেয়ারম্যানের পাশাপাশি ভাইসরয় হোটেল, কনকর্ড বায়োটেক, প্রোভোগ ইন্ডিয়া ও জিওজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর ডিরেক্টর ছিলেন। দালাল স্ট্রিটের ট্রেডার ছাড়াও একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন তিনি। দেশের অন্যতম ধনীদের মধ্যে নাম ছিল রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
Rakesh Jhunjhunwala : কিছুদিন আগেই শুরু করেছিলেন নতুন উদ্যোগ
সূত্রের খবর, ২-৩ সপ্তাহ আগেই হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করা হয়েছিল ঝুনঝুনওয়ালাকে। একাধিক শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ইতিমধ্যেই ভারতীয় ধনকুবেরের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি, আকাসা এয়ারের সঙ্গে বিমান শিল্পে প্রবেশ করেছিলেন ঝুনঝুনওয়ালা। ৭ অগাস্ট প্রথম উড়ান ভরেছিল এই বিমান। এখানেই শেষ নয়, ভারতের 'ইন্টারন্যাশনাল মুভমেন্ট টু ইউনাইটেড নেশনস'-এর উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি।
Rakesh Jhunjhunwala's Early life: কীভাবে শুরু করেছিলেন শেয়ার বাজারে ?
দেশের অন্যতম ধনী ব্যক্তির শুরুটা মসৃণ ছিল না। শেয়ার বাজারে অনেক 'ঠেকে শিখেছেন' তিনি। অনেক ইন্টারভিউতে নিজেই সেই কথা বলেছেন ঝুনঝুনওয়ালা। বড় শিল্পপতির মতো 'সোনার চামচ' মুখে নিয়ে জন্মাননি তিনি। ১৯৬০ সালের ৫ জুলাই মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম হয়েছিল তাঁর। তবে শেয়ার বাজারের প্রতি আগ্রহটা জন্মেছিল তাঁর বাবার কথা শুনে। বাবার মুখে দালাল স্ট্রিটের উত্থান-পতন মনে ধরেছিল তরুণ রাকেশের। সেই থেকেই ঝুঁকি নেওয়ার একটা প্রবণতা কাজ করতে শুরু করে ঝুনঝুনওয়ালার মনে। কলেজ জীবনেই মাত্র ৫০০০ টাকা নিয়ে শেয়ার বাজারে হাতেখড়ি। সেই আমানত দেখতে দেখতে বদলে যায় ৫.৫ বিলিয়নে। অন্তত সেই কথাই বলছে ফোর্বস ম্যাগাজিন।
Rakesh Jhunjhunwala : কোন স্টক বদলে দেয় জীবন ?
১৯৮৫ সালে শেয়ার বাজারে হাতেখড়ি হলেও ঝুনঝুনওয়াল স্টক মার্কেটে উত্থান ঠিক তার পরের বছর। শোনা যায়, ১০৮৬-তে টাটা টি-এর স্টকে নজর যায় তাঁর। কোম্পানির ভবিষ্য বুঝতে অসুবিধা হয়নি রাকেশের। মাত্র ৪৩ টাকার টাটা টি-র শেয়ার কিনতেই বদলে যায় সবকিছু। তিম মাসের মধ্যে সেই শেয়ার পৌঁছে যায় ১৪৩ টাকায়। তিন গুণ লাভের মুখে দেখেন ঝুনঝুনওয়ালা। পরের তিন বছরে যা তাঁকে ২০-২৫ লক্ষ টাকা আয়ের পথ দেখায়। এরপর থেকেই ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা।