PNB Scam Case: সম্প্রতি বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করেছে। ১৪ হাজার কোটির পিএনবি জালিয়াতির মামলায় নাম জড়িয়েছিল মেহুল চোকসির। আর সেই মামলায় এবার মেহুল চোকসির (Mehul Choksi) সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড আর স্টক পোর্টফোলিও বাজেয়াপ্ত করল সেবি। তাঁর কাছ থেকে ২.১ কোটি টাকার জরিমানা এভাবেই আদায় করতে চলেছে সেবি। গীতাঞ্জলি জেমস সংস্থার শেয়ারে ইনসাইডার ট্রেডিং করার অপরাধে সেবি এর আগেই মেহুল চোকসির নামে ২.১ কোটি টাকার জরিমানা (SEBI Action) আরোপ করেছিল। এর মধ্যে ছিল ১.৫ কোটি টাকার জরিমানা এবং ৬০ লাখ টাকার সুদ।

২০২২ সালে জরিমানা আরোপ করেছিল সেবি

গীতাঞ্জলি জেমসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান মেহুল চোকসি তাঁর সহকারী রাকেশ গিরধারলাল গাজেরাকে সংস্থার কিছু 'আন-পাবলিশড প্রাইস সেনসিটিভ ইনফরমেশন' দিয়েছিলেন। আর এই তথ্যের ভিত্তিতেই (Mehul Choksi) শেয়ারে ইনসাইডার ট্রেডিং চলছিল। ১৫ মে মেহুল চোকসির কাছে ডিমান্ড নোটিশ পাঠানো হয়, যেখানে বলা হয়েছিল যে এই টাকা যদি তিনি ১৫ দিনের মধ্যে জমা না করেন তাহলে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে মেহুল চোকসির উপরে জরিমানা আরোপ করা হয়েছিল।

বকেয়া আদায়ের জন্য সেবি সমস্ত ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিয়েছিল, এনএসডিএল, সিডিএসএল সহ সমস্ত ডিপোজিটরিকে নির্দেশ দিয়েছিল যে মেহুল চোকসির অ্যাকাউন্ট থেকে যেন কোনও টাকা বা ইকুইটি বিক্রি বা তোলা না যায়। টাকা জমাতে নিষেধাজ্ঞা ছিল না। সেবি এছাড়াও সমস্ত ব্যাঙ্ককে ডিফল্টারের লকার সহ সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

১৪ হাজার কোটির পিএনবি স্ক্যামের সঙ্গে জড়িত মেহুল চোকসি

নীরব মোদির কাকা মেহুল চোকসির উপরে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৪ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালে এই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসার পরে দুজনেই দেশ (Mehul Choksi) ছেড়ে পালিয়ে যান। এপ্রিল মাসে বেলজিয়ামের অ্যান্টার্পে মেহুল চোকসিকে গ্রেফতার করা হয়।

২০১৮ সালে ভারত ছাড়ার পরে চোকসি আন্টিগুয়াতে থাকতে শুরু করেন। ২০২৩ সালে চিকিৎসার জন্য বেলজিয়ামে আসেন মেহুল চোকসি। সেখানেই থাকতে শুরু করেন। পিএনবি জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত প্রধান অভিযুক্ত নীরব মোদিও এখন ব্রিটেনের জেলে বন্দি আছেন।