মুম্বই: এপ্রিল মাস শেয়ার বাজারের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক সময় গিয়েছে। বাজারের একাধিক সূচকে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু মে মাসে ফের শঙ্কার মেঘ জমেছিল শেয়ার মার্কেটে। এর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে মারাত্মক প্রভাব পড়েছিল সেনসেক্স-স্টকে। তবে রবিবার সংঘর্ষ বিরতির পর সোমবার সপ্তাহের শুরুতে ফের ঊর্ধ্বমুখী।
বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) এর ৩০-শেয়ার সূচক সেনসেক্স ১,৫০০ পয়েন্ট বা ২% বেশিতে আছে। দেশের শীর্ষ ৫০টি কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) এর বেঞ্চমার্ক নিফটি৫০, সকাল ৯:১৫ টা খোলার আগে ১৫ মিনিটের মধ্যে ৫০০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
এর আগে আর্থিক বিশ্লেষকেরা বলেছিলেন যে ১২ মে ফের সূচকের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ব্রোকারেজ ফার্মগুলি জানিয়েছে, সোমবার, ১২ মে বাজারে ২০০ থেকে ৩০০ পয়েন্টের বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে। নতুন করে ভারত-পাক সংঘাত সৃষ্টি না হলে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের যাবতীয় লোকসান পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবরের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে এই সপ্তাহে প্রধান ইকুইটি সূচকগুলিতে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গিয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাকিস্তানি বাহিনী রাতারাতি বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘোষণার পর সপ্তাহের শেষ ব্যবসায়িক দিনে বাজারের পতন আরও তীব্র হয়। যা সম্ভাব্য উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে।
শুক্রবার, ৯ মে দিনের শেষে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) এই সূচক দাঁড়িয়েছিল ২৪,০০৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ ১.১ শতাংশ নিম্নমুখী হয়েছিল ওই বাজারের স্টকের সূচক। গত সপ্তাহের শেষ লেনদেনের দিনে (পড়ুন শুক্রবার, ৯ মে) ফের একবার ৮০ হাজারের নীচে নেমে যায় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সূচক। বাজার বন্ধ হওয়ার সময়ে ৭৯,৪৫৪.৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিল সেনসেক্স। এতে ৮৮০.৩৪ পয়েন্টের বা ১.১০ শতাংশের পতন লক্ষ করা গিয়েছিল।
শেয়ার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন হঠাৎ করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কারণেই এই শেয়ারের পতন লক্ষ্য করা গিয়েছিল।