Smart Phone Addiction: অধিক স্মার্টফোনের ব্যবহার কাল হচ্ছে শিশুদের। সার্বিক বিকাশের জায়গায় ছোট মনে তৈরি হচ্ছে ঘাটতি। অন্তত তেমনই বলছে শিশুদের সমীক্ষা।
Smart Phone Addiction: কীসের কারণে বাড়ছে আসক্তি ?
কোভিডকালে লকডাউনের কারণে বাইরে বেরোতে হয়নি শিশুদের। ঘরে বসেই বেড়েছে মোবাইল ফোনের ব্যবহার। যার ফল ভুগতে হচ্ছে অভিভাবকদের। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর এখন ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছে ছোটরা। শিশুদের এই অবস্থা নিয়ে সরকারের কাছ প্রশ্ন রাখেন সাংসদরা।এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও আইটি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।
Smart Phone Addiction: কী বললেন মন্ত্রী ?
লোকসভায় লিখিত বিবৃতিতে মন্ত্রী জানান, মন্ত্রকের কাছে শিশুদের মধ্যে ইন্টারনেট আসক্তি সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে শিশু সুরক্ষার জন্য জাতীয় কমিশন কিছু সুপারিশ করেছে। সেখানে একটি গবেষণাপত্রে কিছু তথ্য রয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রায় 23.8 শতাংশ শিশু ঘুমোনোর আগে বিছানায় স্মার্টফোন ব্যবহার করে। পরিসংখ্যান বলছে, 37.15 শতাংশ শিশুর স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে মনোযোগের মাত্রা হ্রাস পায়। অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার করার ফলে সৃষ্ট 'প্রতিক্রিয়া'(শারীরিক, আচরণগত ও মানসিক-সামাজিক) শিশুমনে প্রভাব বিস্তার করে। একটি গবেষণা থেকে ডেটা উদ্ধৃত করে তিনি এই কথা বলেন।
Smart Phone Addiction: কোথা থেকে এই বিপত্তি ?
দেশের সাম্প্রতিক অতীত বলছে , মাস ছয়েক আগেও ছিল না এই পরিস্থিতি।করোনার নিত্য নতুন ভ্যারিয়েন্টের ফলে ঘুম ছুটছিল দেশবাসীর। দুটো ভ্যাকসিন নিয়েও করোনার আতঙ্ক তাড়া করছিল মানুষের মনে। স্কুল-কলেজ খোলার পরিবর্তে চলছিল অনলাইন ক্লাস। সেখানে ঘরে থেকে-থেকে এমনিতেই অস্বস্তি বাড়ছিল শিশুদের। করোনার থার্ড ওয়েভ শিশুদের বেশি আক্রান্ত করার আশঙ্কা থাকায় অভিভাবকরাও ছোটদের ঘরেই রাখতে পছন্দ করছিলেন। এই সময় ছোটদের সঙ্গী বলতে, স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট। কিন্তু দেখা গেল, সেই স্মার্টফোন ব্যবহার করে এখন মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে ছোটরা। যা তাদের মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে।