বিশেষ প্রতিবেদন: আমরা ইউনিফর্ম আর শাড়ি পরে বড় হয়েছি। একজন নৌবাহিনীর অফিসারের কন্যা হিসেবে,আমাদের জীবন কেটেছে সমুদ্রের মতো শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে। নোঙর করা রয়েছে, তারপরেও দুলছে যেন। আমার মা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষিকা। তিনি যেন তাঁর সমস্ত জ্ঞান আর সমস্ত দায়িত্ব একটা শাড়িতে জড়িয়ে নিয়ে ঘুরতেন। আর তাতে, প্রত্যেকদিন কী প্রাণোচ্ছল দেখাতো মা-কে। আমার দিদা ছিলেন একজন সৈনিকের স্ত্রী, তিনিও ঠিক এভাবেই নিজের জীবনটা কাটিয়েছেন। ওঁর শাড়িই ছিল ওঁর আবরণ আর গর্বের প্রতীক। আমার মা, দিদাদের স্বামীদের চাকরি সূত্রে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হয়েছে। আর আমার মা, দিদারা পেয়েছেন দেশের বিভিন্ন জায়গার বিশেষত্বযুক্ত সব শাড়ি। অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে তাঁরা সেই সমস্ত শাড়ি পরেছেন আর এই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। শাড়ি যেন হয়ে উঠেছিল তাঁদের ব্যক্তিত্বেরই অংশ। মা, দিদাকে দেখে দেখেই আমার শাড়ির প্রতি ভাললাগা শুরু। প্রথমে আকর্ষণ অনুভব করতাম একটা। পরবর্তীকালে মনে হয়েছিল, একজন শাড়ি শিল্পী হলে আমি আমার শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারব।
ARS-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে, আমি একজন স্টাইলিস্ট হিসেবে কাজ করতাম। কীভাবে ক্যামেরার সামনে আমাদের প্রতিদিনের পোশাকগুলি জীবন্ত হয়ে উঠবে, স্টাইলিং-এ একটা আলাদা মাত্রা পাবে, সেটাই ছিল আমার কাজ। আমার এই অভিজ্ঞতাই আমার কাজে লেগেছে যখনই আমি নতুন নতুন কালেকশন তৈরি করেছি।
ARS হল আমার সেই শিকড়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রত্যেকটা কালেকশনই খুব ভাবনাচিন্তা করে তৈরি করা, ভারতীয় টেক্সটাইলের যে ঐতিহ্য সেটাকেই আমরা বয়ে নিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। আমাদের কালেকশনের শাড়িগুলো কখনও পুরনো তো হয়ই না, আর মনে হয়, এ যেন বড়ই আপনার, একদম নিজের।। আমাদের কাছে এটা শুধু ঐতিহ্য নয়,আমাদের গর্ব এবং পোশাকের স্বস্তিকে এগিয়ে নিয়ে চলা।
ইনস্টাগ্রামে ARS - কে ফলো করুন