Share Market Today : মঙ্গলে ভয়াবহ পতনের পর বুধেই ঘুরে দাঁড়াল ভারতের বাজার (Indian Stock Market) । আগের সেশনের সবচেয়ে বড় ইন্ট্রাডে পতন থেকে পুরোপুরি বাউন্সব্যাক করেছে মার্কেট (Stock Market Today) । আজ ফিন্যান্স স্টকগুলিতে (Finance Stocks) গতি দেখা গেছে। পাশাপাশি প্রযুক্তি খাতে একটি শার্প রিকভারি দেখেছেন বিনিয়োগকারীরা (Investment)।
কোন সূচকরে কী অবস্থাএদিন নিফটি 50 0.72% বৃদ্ধির সঙ্গে সেশনটি শেষ করেছে। 23,332 পয়েন্টে স্থির হয়েছে সূচক। যেখানে সেনসেক্স 0.78% বেড়ে 76,617 পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। বিস্তৃত বাজারগুলিও রিকভারি করেছে। নিফটি মিড-ক্যাপ 100 সূচক 52,025 পয়েন্টে ক্লোজিং দিয়েছে, যা আগের বন্ধের তুলনায় 1.61% বেশি লাফিয়েছে। একইভাবে, নিফটি স্মল-ক্যাপ 100 সূচক 1.12% এর স্বাস্থ্যকর লাভের সঙ্গে 16,162 পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা কী বলছেনআজকের বাজারের পারফরম্যান্স সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে জিওজিৎ ইনভেস্টমেন্টস-এর রিসার্চের প্রধান বিনোদ নায়ার বলেছেন, "আসন্ন মার্কিন শুল্ককে ঘিরে মিশ্র বৈশ্বিক সংকেত থাকা সত্ত্বেও দেশীয় বাজার দৃঢ়তা দেখিয়েছে৷ মার্চের জন্য ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই ভালো হওয়া আজ বাজার চাঙ্গা হয়েছে। যা আট মাসের উচ্চতায় পৌঁছেছে । Q4FY25 কর্পোরেট আয়ে রিকভারির ইঙ্গিত দিয়েছে।"
কোন খাতের কী অবস্থাআজ সব 13টি প্রধান সেক্টরাল সূচক সবুজ রঙে শেষ হয়েছে। আজকের ট্রেডিং সেশনে একটি রিকভাররি মধ্যে সমস্ত 13টি প্রধান সেক্টরাল সূচকগুলি সবুজ রঙে বন্ধ হয়েছে। যেখানে নিফটি রিয়েলটি শীর্ষ লাভকারী হিসাবে উঠে এসেছে ও 3.61% বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরে নিফটি কনজ্যুমার ডিউরেবলস ও নিফটি এফএমসিজি, যা 1% এর বেশি লাভের সাথে সেশনটি শেষ করেছে। পাশাপাশি নিফটি অটো, নিফটি ফার্মা, নিফটি আইটি, নিফটি মেটাল, নিফটি মিডিয়া এবং নিফটি অয়েল অ্যান্ড গ্যাস সহ অন্যান্য সূচকগুলিও 0.2% এবং 0.8% এর মধ্যে লাভের সঙ্গে সেশনটি শেষ করেছে।
নজরে এবার ট্রাম্পের ট্যারিফএদিকে, বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীরা হোয়াইট হাউসের উপর নজর রেখেছে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পারস্পরিক শুল্ক সংক্রান্ত দীর্ঘ-প্রত্যাশিত ঘোষণা ভারতের সেক্টরগুলিতে প্রভাব ফেলতে পারে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই পারস্পরিক শুল্ক কার্যকর হবে। অটো আমদানিতে 25% শুল্ক 3 এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
কী বলছে আমেরিকা ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (USTR) অফিসের সর্বশেষ মূল্যায়ন ইঙ্গিত দেয়, ভারত মার্কিন আমদানির উপর শুল্ক খাড়া বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক বাধা আরোপ করে। বিশেষ করে কৃষি, ওষুধ, চিকিৎসা ডিভাইস এবং ডিজিটাল পরিষেবার মতো খাতে এই শুল্কের নীতি প্রভাব ফেলতে পারে। যেকারণে ভারত সরকার সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সক্রিয় আলোচনায় নিযুক্ত হয়েছে। যার ফলে ভারত কৃষি সহ মূল রপ্তানিতে কঠোর শুল্ক এড়াতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে, ট্রাম্প চিন, কানাডা এবং মেক্সিকো সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিকটতম ব্যবসায়িক অংশীদারদের উপর একাধিক শুল্ক ঘোষণা করেছেন। প্রত্যাশিত পারস্পরিক শুল্ক আরও বেশি দেশকে মার্কিন শুল্ক রাডারের আওতায় আনতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘরেই সমালোচনার মুখে ট্রাম্পট্রাম্পের এই নতুন করে শুল্ক বসানোর নীতি নিয়ে ইতিমধ্য়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করেছে সেদেশের অর্থনীতিবিদরা। এর প্রভাব আমেরিকার অর্থনীতিতে পড়বে বলেও উল্লেখ করেছেন তাঁরা। এর আগে একটি সাক্ষাত্কারে, ট্রাম্প বলেছিলেন যে তার শুল্ক নীতিগুলি অর্থনীতির জন্য স্বল্পমেয়াদি মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে এতে দেশের ভাল হবে। তবে তিনি এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দেননি।
নিফটিতে এখন কোথায় সাপোর্ট
টেকনিক্যালস বলছে, এখন 23,100 স্বল্পমেয়াদে একটি শক্তিশালী সাপোর্ট স্তর থাকতে পারে, যার নীচে দুর্বলতা বাড়তে পারে। অন্যদিকে, 23,100 এর উপরে টিকে থাকলে 23,800 এর দিকে গতি পাবে মার্কেট।
( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)