নয়াদিল্লি:সপ্তাহের শুরুর প্রথম দিনেই শেয়ার বাজারে ধাক্কা। এদিনের লেনদেনে শেয়ার সূচকে পতন দেখা গিয়েছে। বম্বে শেয়ার বাজারের সূচক সেনসেক্স ১০০০ পয়েন্ট ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)-র সূচক নিফটি ৩০০ পয়েন্টের বেশি পড়েছে। একটা সময় সেনসেক্স ১০৮৬ পয়েন্ট নেমে দাঁড়ায় ৫৮,৫৫৫-তে। অন্যদিকে, নিফটির একটা সময় ৩১৮ পয়েন্ট পড়ে হয় ১৭,৪৪৪। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও বাজারে আসন্ন সংশোধনের ঝুঁকির আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের শেয়ার বাজারে সূচকের এই পতন এদিন দেখা গিয়েছে।
শেয়ার বাজারে ব্যাঙ্কিং, অটো, আইটি ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস ও এফএমসিজি-র মতো সেক্টরের শেয়ার নিম্নমুখী দেখা গিয়েছে। বাজাজ ফাইনান্স, ও বাজার ফিনসার্ভ-দুটিতেই শেয়ারের দাম কম দেখা গিয়েছে। বাজার ফাইনান্স ৪২২ টাকা পড়ে ৭০৬৮ ও বাজার ফিনসার্ভ ৭৬২ পয়েন্ট পড়ে ১৭,১৫০ টাকা , রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ৯৮ টাকা পড়ে ২৩৭৪ টাকা ও মারুতি সুজুকি ২২৫ টাকা পড়ে ৭৮৮৭ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
যে শেয়ারগুলির দাম বেড়েছে, সেগুলির মধ্যে টেলিকম সেক্টরের শেয়ারে তেজিভাব দেখা যাচ্ছে। এয়ারটেন ট্যারিফ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই তেজিভাব দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, পেটিএমের শেয়ার দ্বিতীয় দিনের লেনদেনেও পতন অব্যাহত রয়েছে। পেটিএমের শেয়ার আজ পড়ে গিয়ে ১২৪৮
টাকার নিচে নেমে এসেছিল। একাধিক ব্রোকারেজ হাউস পেটিএমের শেয়ার দর আরও পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। আপাতত পেটিএমের শেয়ার দর ১২.৩৯ শতাংশ পড়ে প্রতি শেয়ার ১৩৬৭ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে, মার্কেট ক্যাপ এক লক্ষ কোটি টাকার নিচে ৮৮,৬৯৬ কোটিতে পৌঁছেছে।
ডিজেল সেগমেন্টে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনার ঘোষণার পর মারুতির শেয়ারও কমেছে। গত বৃহস্পতিবার নিফটি ১৩৩ পয়েন্ট কমে ১৭,৭৬৪ ও বিএসই সেনসেক্স ৩৭২ পয়েন্ট কমে ৫৯,৬৩৬-এ বন্ধ হয়েছিল।
আরআইএলের শেয়ার দরেও পতন দেখা গিয়েছে এদিন। মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন কোম্পানি ও সৌদির অ্যারামকো অয়েল-টু-কেমিক্যাল (ও২সি) ব্যবসায় প্রস্তাবিত লগ্নি পূর্ণমূল্যায়ণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর আরআইএলের শেয়ারে নিম্নগতি দেখা গিয়েছে।