SEBI Probe on Jane Street: নিউইয়র্কের কোয়ান্টিটেটিভ ট্রেডিং পাওয়ারহাউজ জেন স্ট্রিট গ্রুপ এলএলসি গত বছর ২০২৪ সালে ইকুইটি ডেরিভেটিভ (F&O Trading) থেকেই ২.৩ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২৩০ কোটি ডলার উপার্জন করেছে ট্রেডিংয়ের (Jane Street) মাধ্যমে। আর এই সংস্থার লোভনীয় ট্রেডিং কৌশলের কারণেই সেবির রাডারে এসেছে এই সংস্থা। এমনটাই জানা যাচ্ছে ব্লুমবার্গের তথ্য থেকে।
এই রিপোর্ট অনুসারে, তথ্যটি গোপনীয় বলে তাতে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে লোকজন বলেছে ২০২৪ সালে জেন স্ট্রিটের রেকর্ড ২০.৫ বিলিয়ন ডলারের গ্লোবাল ট্রেডিং রেভিনিউর মধ্যে ১০ শতাংশই এসেছে ভারত থেকে। ২০২৩ সাল থেকে বাণিজ্যের পরিমাপ তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কোম্পানির বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণের জন্য দেশটির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে তুলে ধরে।
ব্লুমবার্গ গত সপ্তাহে জানিয়েছে যে, কিছু বাজার অংশগ্রহণকারী সংস্থা এই জেন স্ট্রিট ট্রেডিং ফার্মের বিরুদ্ধে মার্কেট ম্যানিপুলেশনের অভিযোগ এনেছে। আর তাই এই বিষয়ে এই ফার্মকে ঘিরে তদন্ত করছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া। এই সংস্থা ডেরিভেটিভ ট্রেড নিয়ে তদন্ত করে চলেছে। গত মাসে এই সংস্থার ইন্ডিয়া ট্রেডিং পার্টনারের বিষয়ে তদন্ত চালিয়েছিল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সেই তদন্তের ফাইলও বন্ধ হয়েছে।
ব্লুমবার্গের মতে জেন স্ট্রিট এখনও পর্যন্ত তাদের ভারতীয় ক্ষমতা ও চলমান সেবির তদন্ত উভয় বিষয়েই মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। ট্রেডেড কন্ট্র্যাক্টস অনুসারে বিশ্বের বৃহত্তম ডেরিভেটিভ মার্কেটে গ্লোবাল হাই-ফ্রিকোয়েন্সি ট্রেডিং অ্যান্ড মার্কেট-মেকিং ফার্মের তালিকায় রয়েছে কেন গ্রিফিনের সিটাডেল সিকিউরিটিজ এলএলসি থেকে অপটিভার যা এই কয়েক বছরে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। খুচরো বিনিয়োগকারীদের নেতৃত্বে উত্থানের ফলে ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত গত ৫ বছরে অপশন প্রিমিয়াম ১১ গুণ বেড়ে গিয়েছে।
জেন স্ট্রিট সংস্থার প্রযুক্তি-ভিত্তিক অ্যাপ্রোচ এবং অ্যালগোরিদমিক অ্যাপ্রোচ আর সর্বোপরি কোনও ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই নিজস্ব পুঁজি বাজারে লাগানোর কারণে ভারতে এই সংস্থা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারতে এই সংস্থা ডিরেকশনাল ট্রেড নিয়েছে। ডেরিভেটিভ ভলিউমের দিক থেকে ভারত সহ আরও অন্যান্য ১৮টি দেশ রয়েছে যেখানে জেন স্ট্রিট সংস্থার ২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে।
কোভিডকালীন সময়ে অপশন ট্রেডিং বা ডেরিভেটিভ ট্রেডিংয়ে যে উত্থান দেখা গিয়েছিল, সেদিক থেকে খানিক স্থিতিশীল হয়ে গিয়েছে বর্তমান বাজার। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে ডেরিভেটিভ ট্রেডিং সংক্রান্ত ফি ২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে এপ্রিল মাসে। এমনটাই জানা যাচ্ছে এক্সচেঞ্জের তথ্য থেকে।