Ultratech Q3 Result: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের ফল প্রকাশ হয়েছে। আর তাতেই বিপুল মুনাফার সুখবর জানিয়েছে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের এই সংস্থা। সূত্রের খবর, গত বছর একই ত্রৈমাসিকের তুলনায় প্রায় ৬৮ শতাংশ বেড়েছে সংস্থার লাভ। কর জমা করার পরেও সেই লাভের পরিমাণ ১,৭৭৭ কোটি টাকা। আর এটাই এই সংস্থার ত্রৈমাসিকের হিসেবে সর্বোচ্চ মুনাফার অঙ্ক। সংস্থার নাম আলট্রাটেক সিমেন্ট (Ultratech Cement)। রেকর্ড মুনাফার খবরে মঙ্গলবার ২ শতাংশ বেড়েছে এই শেয়ারের দাম।


আলট্রাটেক সিমেন্টের (Ultratech Cement) তরফে এও জানানো হয়েছে যে তাদের নেট সেলস ইয়ার-অন-ইয়ার (YoY) হিসেবে বেড়েছে ৭.৮ শতাংশ। গত বছর অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে যেখানে নেট সেলস ছিল ১৫,২৯৯ কোটি টাকার সেখানে তুলনায় ২০২৩ সালের এই ত্রৈমাসিকে নেট সেলস দাঁড়ায় ১৬,৪৮৭ কোটিতে। বিএসইতে এই সংস্থার শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ২.০৭ শতাংশ।


এছাড়াও কোম্পানির সার্বিক উপার্জন গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৮ শতাংশ বেড়েছে, এখন যার অঙ্ক ৩,৩৯৫ কোটি টাকা। জ্বালানি খরচ কমেছে, কমেছে উৎপাদন খরচও আর তাই সিমেন্টের (Ultratech Cement) বাড়তি চাহিদার উপর ভরসা করে এই সংস্থার ত্রৈমাসিকের রোজগার ভাল হয়েছে। আলট্রাটেক জানিয়েছে তাদের গ্রে সিমেন্টের বিক্রি ইয়ার-অন-ইয়ার ভিত্তিতে প্রায় ৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।


জানা গিয়েছে এই সংস্থা ২০২৩ সালের মধ্যে ৮৫ শতাংশ গ্রিন এনার্জি ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থার মধ্যে চলে আসবে। বর্তমানে যদিও সিমেন্ট উৎপাদনের ক্ষেত্রে শক্তির উৎস হিসেবে মাত্র ২৪ শতাংশ গ্রিন এনার্জি ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন যে টানা ছয়টি ত্রৈমাসিকে সিমেন্টের ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য এই বছর তৃতীয় ত্রৈমাসিকে খানিক কমতে পারে সিমেন্টের (Ultratech Cement) চাহিদা, আর চাহিদা পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিমেন্টের দামও আবার আগের জায়গায় ফিরে আসবে।


গত অর্থবর্ষে যেখানে সংস্থার সিমেন্টের চাহিদা ছিল ১২ শতাংশ সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ইয়ার-অন-ইয়ার ভিত্তিতে সিমেন্টের চাহিদা রয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। আর এই বিপুল মুনাফার খবরে প্রভাব পড়েছে এই সংস্থার শেয়ারের দামেও। আজ শুক্রবার সপ্তাহের শেষ ট্রেডিং ডে-তে আলট্রাটেকের শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ।


বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে ভারতের নাম উঠে আসে যেখানে ২০২২ সালে ভারতের সিমেন্ট শিল্পের মার্কেট সাইজ ছুঁয়েছে প্রায় ৩.৬৪ বিলিয়ন টন এবং ২০২৮ সালের মধ্যেই আশা করা হচ্ছে এই মার্কেট সাইজ ৪.৮৩ বিলিয়ন ছুঁয়ে ফেলতে পারবে।    


আরও পড়ুন: Tata Steel Share: হাসি ফোটাল টাটা স্টিল! আজ কেন বাড়ল শেয়ার দর? আরও কী বাড়বে?