Continues below advertisement

Swami Ramdev : আজকাল রোজকার জীবনযাত্রায় বেড়েই চলেছে রোগের প্রভাব। আধুনিক জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত মানুষজন এখন দূষণ, মানসিক চাপ ও ভারসাম্যহীন খাদ্যাভ্যাসের ফলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমা করছে। যার ফলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, লিভারের সমস্যা ও অটোইমিউন রোগের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটছে। পতঞ্জলি বলছে এর থেকে বেরোনোর উপায় রয়েছে, তাও প্রাকৃতিকভাবে।

এই নিয়ে কী বলছে পতঞ্জলিপতঞ্জলির মতে, বর্তমানে এই ধরনের পরিবেশে আমাদের যোগপীঠের প্রাকৃতিক চিকিৎসা মানুষের জন্য আশীর্বাদ প্রমাণিত হচ্ছে। সংস্থার দাবি, তাদের সুস্থতা কেন্দ্রগুলি এখন ভারত ও বিদেশে প্রাকৃতিকচিকিৎসার বৃহত্তম কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসছে।

Continues below advertisement

কীভাবে কাজ করছে পতঞ্জলিপতঞ্জলি দাবি করছে, "আমাদের প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবস্থা পাঁচটি উপাদানের (পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়ু, আকাশ) উপর ভিত্তি করে তৈরি। মাড থেরাপি, ওয়াটার থেরাপি, উপবাস, সূর্যস্নান ও কুঞ্জলবস্তির মতো প্রাকৃতিক চিকিৎসাও দেওয়া হয়। আয়ুর্বেদিক ভেষজ ও ঐশ্বরিক ওষুধের সংমিশ্রণও ব্যবহার করা হয়।"

কী বলছে পতঞ্জলিসংস্থা দাবি করছে যে, মাত্র ৭ থেকে ২১ দিনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা শরীরের ৭০-৮০% বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে পারে। ইনসুলিন রোধ, থাইরয়েড ভারসাম্যহীনতা ও লিভারের চর্বির মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই প্রকৃতিক চিকিৎসা।

অনেক রোগী ওষুধমুক্ত জীবনযাপন শুরু করেছেনপতঞ্জলি দাবি করেছেন, "আমাদের সুস্থতা কেন্দ্রগুলিতে হাজার হাজার রোগীর প্রাকৃতিক চিকিৎসার মাধ্যমে সফলভাবে চিকিৎসা করা হয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের ওষুধের চাহিদা অর্ধেক কমে গেছে। অনেকেই ওষুধমুক্ত জীবনযাপন শুরু করেছেন। স্থূলকায় রোগীরা শুধুমাত্র প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবহার করে ১৫-২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন। অন্যান্য রোগের রোগীরাও উল্লেখযোগ্য উপশম পেয়েছেন।"

প্রাকৃতিক চিকিৎসা রোগের মূল নির্মূল করে, মত আচার্য বালকৃষ্ণরএই বিষয়ে আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, "প্রাকৃতিক চিকিৎসা রোগকে মূল থেকে নির্মূল করে। আমাদের লক্ষ্য, ভারতকে আবার বিশ্বনেতা করে তোলা ও সকলের জন্য একটি সুস্থ, রোগমুক্ত জীবন দেওয়া। পতঞ্জলি প্রাকৃতিক চিকিৎসার অনন্য বৈশিষ্ট্য হল, সংস্থা চিকিৎসার পাশাপাশি যোগ, প্রাণায়াম এবং সাত্ত্বিক খাদ্যাভ্যাসের প্রশিক্ষণ দেয়, যাতে ব্যক্তিরা বাড়ি ফিরে আসার পরেও একটি সুস্থ জীবনধারা গ্রহণ করতে পারে।"

পতঞ্জলি ওয়েলনেস বর্তমানে হরিদ্বার, দিল্লি, মুম্বাই ও বেঙ্গালুরু সহ কয়েক ডজন শহরে বিশ্বমানের প্রাকৃতিক চিকিৎসা কেন্দ্র পরিচালনা করে। চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকেও বিপুল সংখ্যক রোগী আসছেন এখানে।