A अ ক
শেয়ার করুন

চন্দ্রযানের রোমাঞ্চকর সফর

S"উল্টে পাল্টে জানুন খুঁটিনাটি, অতীত থেকে ভবিষ্যৎ, ঘুরে বেড়ান অনায়াসে কারণ আপনাকে ৩টি চন্দ্রাভিযানের সুলুকসন্ধান দিতে আসছে ABP Live

Start
Chandrayan rocket

চন্দ্রযান 1

চন্দ্রযান 2

চন্দ্রযান 3

পুরো যাত্রাটি দেখুন
২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর চন্দ্রযান-১ মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO। চাঁদকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম ভারতীয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-১।
প্রাচীন সংস্কৃত শব্দ ‘চন্দ্র যান’ থেকে চন্দ্রযান নামকরণ ভারতীয় মহাকাশযানের।
চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রথম জলের খোঁজ পায় ভারতের চন্দ্রযান-১।চাঁদের মাটিতে জলের অণু আবিষ্কার করে। চাঁদের মাটিতে যে জলের উপাদান রয়েছে, বোঝা যায় সেই প্রথম।
চন্দ্রযান-১ মহাকাশযানের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল ‘মুন ইমপ্যাক্ট প্রোব’ যানও। নিয়ন্ত্রিত ভাবে ওই মহাকাশযানকে চাঁদের বুকে আছড়ে ফেলা হয়। পৃথিবীর বাইরে, মহাজগতে নিয়ন্ত্রিত ভাবে মহাকাশযান আছড়ে ফেলা প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাসে নাম ওঠে ভারতের।
চন্দ্রযান-১ ছিল রেফ্রিজারেটরের আকারের একটি মহাকাশযান, তার ভর ছিল ৫৭০ কেজি, যা একটি প্রাপ্তবয়স্ক উটের সমান।
  • চাঁদের কক্ষপথে যখন প্রবেশ করে চন্দ্রযান-১, ভর ছিল ৬৭৪ কেজি।
  • উৎক্ষেপণের সময় চন্দ্রযান-১ মহাকাশযানের ভর ছিল ১৩৮০ কেজি।
Chandrayaan
২০১৯ সালের ২২ জুলাই চন্দ্রযান-২ মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ হয়। ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযানের জন্য তৈরি হয় এই মহাকাশযান। এর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল একটি অরবিটার, একটি ল্যান্ডার এবং একটি রোভার।
২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পালকের মতো চাঁদের মাটি স্পর্শ করার চেষ্টা করে চন্দ্রযান-২। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে অবতরণের সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চন্দ্রপৃষ্ঠে ভেঙে পড়ে চন্দ্রযান-২ মহাকাশযান।
চন্দ্রযান-২ আরও যে কারণে নজর কাড়ে, তা হল, মহিলা বিজ্ঞানীরা ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। ওই অভিযানে প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন মুথাইয়া বনিতা। অভিযানের ডিরেক্টর ছিলেন রিতু করিধাল।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত যন্ত্রাংশের ব্যবহারে তৈরি হয় চন্দ্রযান-২ মহাকাশযানের অরবিটার। ল্যান্ডার ভেঙে পড়লেও, আজও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ওই অরবিটার। চন্দ্রপৃষ্ঠ এবং চাঁদের বহিরাবরণ পরীক্ষা করে দেখছে সেটি।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান পাঠানো প্রথম দেশ ভার, তাও আবার অন্য দেশের তুলনায় নামমাত্র খরচে।
ভারতের তৃতীয় চন্দ্রাভিযানের জন্য তৈরি মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩। মহাকাশ অভিযানে ভারতের স্বপ্নপূরণের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে এর নাম। এর সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ এবং রোভার ‘প্রজ্ঞান’।
Chandrayaan
চন্দ্রযান-৩ অভিযানের মূল লক্ষ্য তিনটি-
  1. চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে, পার্বত্য এলাকায় মহাকাশযানটিকে পালকের মতো মাটি ছোঁয়ানো।
  2. অবতরণ থেকে বিচরণ, আগাগোড়া মহাকাশযানের ক্ষমতার উপর নজরদারি চালানো।
  3. চাঁদের মাটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পাশাপাশি, ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির চাহিদার গুরুত্ব অনুধাবন করা।
চন্দ্রপৃষ্ঠে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ এবং রোভার ‘প্রজ্ঞান’-এর কার্যকালের মেয়াদ এক চন্দ্রদিবস, পৃথিবীর হিসেবে ১৪ দিন।
চাঁদের মাটি পরীক্ষা করে দেখবে চন্দ্রযান-৩। চাঁদের মাটিতে রাসায়নিক, জল এবং শিলার উপাদান বিশ্লেষণ করে দেখবে।

ইতিহাস তৈরী হল ২৩ অগাস্ট, ২০২৩ সালে চন্দ্রযান ৩-র সুবাদে প্রথম দেশ হিসাবে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করতে সক্ষম হল।

moon
moon rover
নজর রাখুন লাইভ স্ট্রিমে
Moon
scroll rocket
0%
asian paints asian paints